মহানগর ডেস্ক : দুধ অনেক ছেলে মেয়েই খেতে পছন্দ করে না। তবে আমাদের বাবা মায়েরা ছোটবেলা থেকে দুধ খাওয়ার ওপর বেশি জোর দেন। কারণ দুধে যে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায় তার সাধারণত সহজে পাওয়া যায় না। এছাড়া হাড় ভালো রাখতে ক্যালসিয়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি রক্ত জমাট বাধা পেশী সংকোচন হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ স্নায়ুর ক্রিয়া-কলাপের বিভিন্ন কাজ ঠিক রাখতে আমাদের প্রত্যেকদিন কিছু পরিমাণ ক্যালসিয়াম খেতে হয়।
তবে কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় দুধ হয়ে ওঠে আমাদের চরম শত্রু। বিশেষ করে যাদের ল্যাকটোজ টলারেন্স রয়েছে। দুধ খেলেই হয় বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা। তাই এই সমস্যাকে মোকাবিলা করতে ও দুধের মতই ক্যালসিয়াম পেতে খেতে পারেন এই খাবারগুলি…
সয়া মিল্ক : দুধের বিকল্প হিসেবে প্রথমেই আমাদের মাথায় আসে সয়া মিল্কের কথা। ক্যালসিয়ামে ভরপুর ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ এই দুধ খেলে হজম সংক্রান্ত কোনো রকম সমস্যা হয় না। এছাড়া যাদের দুধ বা দুগ্ধজাত খাবারে অ্যালার্জি থাকে তারাও খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন সয়া মিল্ক।
চিয়া বীজ : সয়া মিল্ক এর মতোই আর একটি ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার হলো চিয়া সিডস। ওটমিল, দই ইত্যাদি সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন অনায়াসে।
কাঠবাদাম : শরীরের দৈনন্দিন ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মেটাতে খেতে পারেন নিয়ম করে কাঠবাদাম। সারারাত চার থেকে পাঁচটি আমন্ড জলে ভিজিয়ে রাখুন পরের দিন সকালে খালি পেটে খেয়ে নিন।
সূর্যমুখীর বীজ : মতই সূর্যমুখী ডিজে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে। বালামের মতোই এক কাপ সূর্যমুখী বীজে থাকে প্রায় ১১০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম।
কমলালেবু : শীতকালের দিনে কমলা লেবু খুঁজে পাওয়া কোন শক্ত কাজ নয়। প্রত্যেকদিন খাবার পর একটি করে খেতে পারেন কমলালেবু।
ব্রকলি : ভিটামিন সি সমৃদ্ধ সবজি ব্রকলি। আদকাপ ব্রকলি খেলে প্রত্যেকদিন ৮৪ শতাংশ ভিটামিন সি এবং ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ হয়। এছাড়া সংক্রমণজনিত অসুখ ,সর্দি, কাশি ,জ্বর ইত্যাদি থেকে রক্ষা করে এটি।