মহানগর ডেস্ক: চুলের বিভিন্ন সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। সেক্ষেত্রে সমস্যাগুলো নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করা যায়। তবে মাথায় যদিও কোন বাসা বাঁধে অনেকেই লজ্জায় গুটিয়ে যান। তাতে আখেরে ক্ষতি হয় আপনারই। মাথায় উকুন বাসা বাধলে কেবলমাত্র চুলের ক্ষতি হয় এমনটা নয়, স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি হয়। যদিও বাজারে কিছু কিছু উকুন নাশক শ্যাম্পু পাওয়া যায়। তবে সেগুলিতে অত্যধিক কেমিকাল থাকার ফলে চুলের পক্ষে সেগুলি মোটেও ভালো নয়। তাই উকুন তাড়ান ঘরোয়া পদ্ধতিতে।
ভিনিগার : ভিনিগারে থাকে অ্যাসিটিক অ্যাসিড। যা উকুন নিরাময়ের জন্য ভীষণ ভালো। মাত্র ১০ মিনিট মাথার ত্বকে ভালোভাবে লাগিয়ে রাখুন ভিনিগার। তারপর যে কোন শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন চুল। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন এই পদ্ধতি ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।
টি ট্রি অয়েল: অলিভ অয়েলের সঙ্গে ১৫ ফোটা টি ট্রি অয়েল ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। তারপর তুলো দিয়ে ভালোভাবে মাথার স্ক্যাল্পে লাগান। ঘুমোতে যাওয়ার আগে যদি এই তেল ভালভাবে লাগিয়ে নেন তাহলে ঘুমটাও ভাল হবে। পরের দিন সকালে উঠে যেকোনো হালকা শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে নিলে উকুন পালাবে।
লেবুর রস এবং রসুন : দু তিন কোয়া রসুন থেঁতো করে লেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে মাথায় লাগান। তারপর একটা তোয়ালে গরম জলে ডুবিয়ে মাথায় পেঁচিয়ে রাখুন আধা ঘন্টা। তারপর শ্যাম্পু করে নিন।
পেঁয়াজের রস : পেঁয়াজের রস দিয়ে চুল গজাতে সাহায্য করে এমন টাই নয়। উকুন তাড়াতে সাহায্য করে। পেঁয়াজকে ভালোভাবে বেটে তার রস মাথায় লাগিয়ে রাখুন ঘণ্টা দুয়েক মত। তারপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিনেই নিয়ম চললে উকুন বিদায় নেবে সারা জীবনের মতো।
অ্যালকোহল : স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হলেও উকুন তাড়াতে কিন্তু অ্যালকোহলের জুড়ি মেলা ভার। কয়েক চামচ অ্যালকোহল মাথার ত্বকে ভালভাবে লাগিয়ে রাখুন। একটু জালা করবে ঠিকই তবে সেটি ক্ষতিকর নয়। তারপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।