মহানগর ডেস্ক : হিন্দুদের একটি ধর্মীয় উৎসব। দেবশিল্পী বিশ্বকর্মার আশিস কামনায় এ পূজা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বকর্মা চতুর্ভুজ ও গজারূঢ়। তাঁর আকৃতি অনেকটা কার্তিকের মতো।ভাদ্রমাসের সংক্রান্তিতে কলকারখানায় বেশ আড়ম্বরের সঙ্গে বিশ্বকর্মার পূজা অনুষ্ঠিত হয়। অন্যান্য দেব-দেবীর মতোই মূর্তি গড়ে অথবা ঘটে-পটে বিশ্বকর্মার পূজা করা হয়।
সূতার-মিস্ত্রিদের মধ্যে এঁর পূজার প্রচলন সর্বাধিক। তবে বাংলাদেশে স্বর্ণকার, কর্মকার এবং দারুশিল্প, স্থাপত্যশিল্প, মৃৎশিল্প প্রভৃতি শিল্পকর্মে নিযুক্ত ব্যক্তিগণও নিজ নিজ কর্মে দক্ষতা অর্জনের জন্য বিশ্বকর্মার পূজা করে থাকেন। এ সময় প্রত্যেকের ঘরে বিশেষ খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা হয় এবং কোথাও কোথাও পূজার পরে ঘুড়ি ওড়ানো হয়।
প্রসঙ্গত,বিশ্বকর্মা দেবতাকে বলা হয় দেবতাদের ইঞ্জিনিয়ার কারণ যে কোনো যন্ত্রপাতি নিমেষে সুস্থ করে দিতে পারেন তিনি। পুরাণ মতে, পুরীর জগন্নাথ দেবের মূর্তিও তৈরি করেছেন তিনি।
সময়সূচী
চলতি বছরের পুজোর শুভ সময় সকাল ৭ টা ৫০ মিনিট থেকে দুপুর ১২ টা ২৬ মিনিট পর্যন্ত। আবার দুপুর ১টা বেজে ৫৮ মিনিট থেকে বিকেল ৩টে বেজে ৩০ মিনিট পর্যন্ত থাকবে শুভ সময়। নিয়মরীতি বিশ্বকর্মা জয়ন্তীতে বিশ্বকর্মার পুজো করা হয়। বাড়িতে থাকা যন্ত্রপাতি গুলি পরিষ্কার করেন নিন। একটি জলচৌকিতে লাল কাপড় পেতে বিশ্বকর্মার মূর্তি প্রতিষ্ঠা করুন। বিশ্বকর্মাকে চন্দন আর সিঁদুরের টিকা পরাবেন। তারপরই ফল মিষ্টি অর্পণ করুন। ধূপ আর প্রদীর জ্বেলে দেবতার আরাধনা করুন। বর্তমানে জীবনে আমরা প্রত্যেকেই যন্ত্রের ওপর নির্ভরশীল। মোবাইল আর ল্যাপটপর সুরক্ষারও জন্যও বিশ্বকর্মার পুজো করতে পারেন। প্রয়োজনীয় সামগ্রী বা যন্ত্রপাতিগুলি বিশ্বকর্মার পায়ের কাছে রাখুন। বিশ্বকর্মা জয়ন্তীতে বাড়ির ও ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয় অভিবাদন করা উচিৎ।