Home Lifestyle অ্যানিমিয়ার মহাশত্রু গরীবের এই ড্রাই ফ্রুটস, খেলেই হিমোগ্লোবিন বাড়াবে ১ সপ্তাহে 

অ্যানিমিয়ার মহাশত্রু গরীবের এই ড্রাই ফ্রুটস, খেলেই হিমোগ্লোবিন বাড়াবে ১ সপ্তাহে 

by Mahanagar Desk
127 views

মহানগর ডেস্ক:   বেশিরভাগ সময় রক্তশূন্যতা শুধুমাত্র মহিলাদের ক্ষেত্রেই বেশি দেখা যায়। কি খেলে  এই সমস্যার সমাধান হবে সেই প্রশ্নই সকলের মনে রয়েছে।  তবে আজ আমরা এমন একটি ড্রাইফ্রুট কথা বলব, যা দামে সস্তাও এমনকি কাজও দুর্দান্ত । আপনি যদি নিয়মিত এই ফল খান খেলে ঝড়ের গতিতে বাড়বে রক্তে বাড়বে হিমোগ্লোবিন ।   ১ সপ্তাহে হিমোগ্লোবিন ছুঁয়ে ফেলবে ১২, বয়স অনুযায়ী খাওয়ার উচিত নিয়ম বলে দিলেন বিশেষজ্ঞ ।

অ্যানিমিয়া এমন একটি রোগ, ভারতবর্ষের প্রতি ৩ জন মহিলার মধ্যে একজন মহিলা আজ এই সমস্যায় ভুগছেন। সার্ভে বা তথ্য অনুযায়ী, ভারতে বেশিরভাগ রক্তশূন্যতা বলতে গেলে মহিলাদের মধ্যেই দেখা যায়, তবে আজ আমরা এমন এক ড্রাই ফ্রুটস-এর গুণাগুণ সম্পর্কে বলতে যাচ্ছি, যা ভক্ষণের ফলে এক সপ্তাহের মধ্যেই শরীরে ভালো ফল প্রদান করবে। সবথেকে মজাদার বিষয় হল যে, এই শুকনো ফলটি বেশ সস্তা এবং বাজেটের মধ্যে । তাই একে গরিবের ড্রাই ফ্রুটস বলা হয়। ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচির একজন স্বনামধন্য আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ভি কে পাণ্ডে বলেন, “মহিলারা সবচেয়ে বেশি রক্তাল্পতায় ভোগেন। মহিলাদের শরীরে রক্তের অভাব দেখা দেয় দ্রুত। এর কারণ অনেক সময় মহিলারা সময়মতো খাবার খান না বা পুষ্টিকর খাবার যারা খান না । তাছাড়া মাসিক হওয়ায় মেয়েদের শরীর থেকে প্রতি মাস একটা নির্দিষ্ট সময় ধরে রক্ত শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় তাতে তাঁরা দুর্বল বোধ তো করেননি আর যদি সেই মতো পুষ্টিকর খাবার না খান তাহলে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায় । সন্তান, স্বামী ও পরিবারের দেখাশোনায় অতিরিক্ত চাপের কারণে তারা যে খাবার খান তাও শরীরে ঠিকমতো কাজে লাগে না কাজের চাপে । নিয়মিত তেমন ড্রাই ফ্রুট খাওয়া জরুরি । কিছু শুকনো ফল আছে যেগুলি খাওয়ার ফলে এক সপ্তাহের মধ্যে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা প্রায় ১২-তে নিয়ে আসবে । নিয়মিত তেমন ড্রাই ফ্রুট খাওয়া জরুরি।

খেজুর রক্তশূন্যতার বিরুধে একপ্রকার সত্রু হিসেবে কাজ করে বলা বাহুল্য, ডাঃ ভি কে পাণ্ডে বলেন যে আসলে এই শুকনো ফলটি হল আর কিছু নয় আপনারই ছখের নাগালে খেজুর। তিনি বলেন, খেজুর সম্পর্কে মজার জিনিস হল, এটি সবচেয়ে সস্তা এবং বাজেট ফ্রেন্ডলি ফল। খেজুরে প্রচুর পরিমাণে আয়রন পাওয়া যায়। এই কারণেই এটি রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে। আয়রন আপনার শরীরে লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যা খেজুর থেকে বেশ ভালো পরিমাণেই পাওয়া যায়। সব থেক উপকার পাওয়া যাবে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে যদি তিন থেকে চারটি খেজুর খাওয়া যেতে পারে, তবে এটি খাওয়ার একটি নিয়ম আছে। রাতে এক গ্লাস দুধ নিয়ে তাতে চারটি খেজুর যোগ করতে হবে এবং সেই দুধ সকালে খালি পেটে পান করে খেজুর ভাল করে চিবিয়ে খেতে হবে । খাওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে পার্থক্য দেখতে পাওয়া যাবে শরীরে ও রক্তের হিমোগ্লোবিনের ওপর । প্রথমত, হিমোগ্লোবিন বাড়বে এবং শরীরে এক অন্যরকম চটজলদি ভাব আসবে এবং শরীরে আসবে উদ্যমী বোধ ।

ডক্টর ভি কে পাণ্ডে বলেন, খেজুর খাওয়ার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে, যেমন আপনাকে মাত্র তিন থেকে চারটি খেজুর খেতে হবে। এবং ১২ বছরের কম বয়সি শিশুদের শুধুমাত্র দুটি খেজুর খেতে হবে। প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য মাত্র তিন থেকে চারটি খেজুর খেতে হবে, এর চেয়ে বেশি পরিমাণে নয়, কারণ অতিরিক্ত পরিমাণে আয়রনও শরীরে বদহজমের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে। আবার খেজুর যদি বেশি পরিমাণ খওয়া হয় এরও কিন্তু খারাপ গুন রয়েছে । বেশি পরিমানে খেলে দেহে অতিরিক্ত ফাইবারের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য বা অ্যাসিডিটির সমস্যা হতে পারে।

You may also like