বিক্রম ব্যানার্জী: কম বয়সে চুল পেকে যাওয়া বর্তমানে সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিনের নানান অনিয়ম, অতিরিক্ত স্ট্রেস ও অপুষ্টিকর খাদ্যভ্যাসের কারণে দেশের বেশিরভাগ তরুণ-তরুণীর চুল নির্ধারিত সময়ের আগেই পাকতে শুরু করে। যদিও এর একটি অন্যতম কারণ চুলে ব্যবহৃত কেমিক্যালযুক্ত শ্যাম্পু ও নানান প্রসাধনীও। কাজেই চুল পেকে যাওয়া বা সাদা হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যার হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রতিবেদনে উল্লিখিত নিয়মগুলি মেনে চলুন।
চুল কেন পাকে?
সাধারণত চুলের কালো রঙ আসে মেলালিনের কারণে। মেলালিন চুলের রঙ ধরে রাখে। তবে কোনও ভাবে শরীরে এর উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেল চুল সাদা হতে অর্থাৎ পাকতে শুরু করে। এছাড়াও কখনও কখনও চুল হলুদ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যাতেও ভোগেন অনেকে। আসলে চুলে তৈরি হওয়া কেরাটিন নামক প্রোটিনের কারণে চুল রঙ হীন হয়ে পড়ে এবং হলুদ রঙ নেয়। অনেক ক্ষেত্রে জিনগত কারণেও চুল পাকতে পারে। পাশাপাশি শরীরে ভিটামিন বি-এর ঘাটতি দেখা দিলে তারুণ্যে চুল তার জেল্লা হারায়।
কী করবেন?
• পাকা চুলের সমস্যা থেকে বাঁচতে বেশ কিছু অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। যেমন, অনেকেই রয়েছেন পাকা চুল দেখলেই সেটি ছিঁড়ে ফেলেন। তবে এই অভ্যাস একেবারেই ঠিক নয়। এতে চুলের গোরা আলগা হয়ে যায় এবং স্ক্যাল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
• চুলে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করা যাবে না। চুল সেট করতে কিংবা চুলের সৌন্দর্য বাড়াতে অনেক সময় হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করেন অনেকে। তবে এই কাজ এখনই বন্ধ করতে হবে।
• চুল পাকার একটি অন্যতম কারণ সূর্যের আলো। সূর্যের আলোতে থাকা ভিটামিন ডি পাকা চুলে নতুন মাত্রা যোগ করে। তাই চুল পাকতে শুরু করলে রোদের মধ্যে অবশ্যই টুপি, ছাতা কিংবা স্কার্ফ ব্যবহার করুন।
• চুলের সমস্যা থেকে বাঁচতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ভাল মানের শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। একই সঙ্গে চুল ডাই করতে পারেন।
• উপরিউক্ত নিয়মগুলি মেনে চলার পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও কেমিক্যাল যুক্ত পদার্থ বা জেল জাতীয় কোনও প্রসাধনী ব্যবহার করা যাবে না।
আরও পড়ুন: 6 মাস 20 দিন সাইকেল চালিয়ে সৌদি আরবে রোনাল্ড ভক্ত