মহানগর ডেস্ক: আগামীকাল ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপ্রতি নির্বাচনের (Presidential Election) আগে বিরোধী দলের প্রার্থী যশবন্ত সিনহা (Yashwant Sinha) সকলকে তাঁকে ভোট দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। একটি খোলা চিঠিতে সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি। যাঁরা তাঁকে এই পদের জন্য উপযুক্ত বলে মনে করছেন, তাঁদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন সিনহা। লিখেছেন, নির্বাচনের আগে প্রচারাভিযানে দেশের জনগণের কাছ থেকে যে বিপুল সাড়া পেয়েছি তাতে আমি অভিভূত। সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই, যাঁরা আমাকে এই পদের প্রার্থী হওয়ার জন্য উপযুক্ত বলে মনে করেছেন।
পাশাপাশি চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রচার ২৮ জুন কেরালায় শুরু হয়েছিল। শেষ হয়েছে ১৬ জুলাই ঝাড়খণ্ডে। তিরুবন্তপুরম, চেন্নাই, রায়পুর, হায়দরাবাদ, ব্যাঙ্গালুরু, গান্ধীনগর, শ্রীনগর, চন্ডীগড় সহ ১৩ টি রাজ্যের রাজধানী বিগত দিনে পরিদর্শন করেছেন বিরোধী দলের প্রার্থী। সেইসঙ্গে জয়পুর, গুয়াহাটি, ভোপাল, পাটনা এবং রাঁচিতে ৫০টিরও বেশি প্রেস কনফারেন্সে ভাষণ দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, “এই নির্বাচন কেবল দুই প্রার্থীর মধ্যে নয়, আদর্শ ও চিন্তাধারার নির্বাচন”।
সিনহা জানিয়েছেন, ‘আমার আদর্শ ভারতের সংবিধান। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সেই শক্তির প্রতিনিধিত্ব করেন যাদের আদর্শ সংবিধান পরিবর্তন করা। আমি ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতিরক্ষার পক্ষে দাঁড়িয়েছি। যা আমাদের সংবিধানের একটি শক্তিশালী স্তম্ভ এবং বৈচিত্র্য। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এমন একটি দলের থেকে যারা, এই স্তম্ভটিকে ধ্বংস করে সংখ্যাগরিষ্ঠ আধিপত্য প্রতিষ্ঠার সংকল্প নিয়েছে’। তাঁর কথায়, ‘প্রতিপক্ষকে যারা মনোনীত করেছেন তারা, ভারতীয় সংবিধানের ফেডারেল কাঠামোর উপর বহুবার আক্রমণ করেছে। আমি একাধিক দলীয় এবং যৌথ নেতৃত্বের পক্ষে দাঁড়িয়েছি। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে যাদের লক্ষ্য গণতান্ত্রিক ভারতকে কমিউনিস্ট চিনের মত একটি জাতিতে পরিণত করা। এক দল, এক সর্বোচ্চ নেতার মত ব্যবস্থা। এটি অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। শুধুমাত্র আপনিই পারবেন। এটা বন্ধ করূন’।
যশবন্ত সিনহার বক্তব্য, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে যারা ভোট দিতে যাচ্ছেন, সেই দল আর অটল বিহারী বাজপেয়ীজি এবং লাল কৃষ্ণ আবাণীজির নেতৃত্ব দেওয়া দল নয়। এটি এখন একক নেতার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমি নিশ্চিত আমার মত অনেকেই এই পার্থক্যটি বুঝতে পারছেন এবং দুঃখবোধ করছেন। এই নির্বাচন আপনার কারেকশনের জন্য শেষ সুযোগ। নিজের বিবেকের কথা শুনুন এবং আমায় ভোট দিন। এদিন দেশের গণতন্ত্রকে বাঁচাতে তাঁকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সিনহা।