মহানগর ডেস্ক : অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মারণ রোগ ক্যান্সার যখন শরীরে বাসা বাঁধে তার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোন রকম প্রতিক্রিয়া দেখতে পাওয়া যায় না। আর যখন প্রতিক্রিয়া দেখতে পাওয়া যায় তখন অনেক দূর এগিয়ে যায় ব্যাপার। ফুসফুসের ক্যান্সারের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম নয়। এ যেন অনেকটা গুপ্ত ঘাতক। পরিসংখ্যানগতভাবে অন্যান্য রোগীদের থেকে ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে। তাই প্রাথমিক অবস্থায় এই রোগ কে চিহ্নিত করা বেশ কঠিন। তবে ফুসফুস ক্যান্সারের ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান লক্ষণ হলো কাশি। প্রায় ৮৫% গবেষণায় দেখা গিয়েছে ফুসফুস ক্যান্সারের প্রধান এবং অন্যতম লক্ষণ হল সর্বক্ষণ খুক খুকে কাশি।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রথমে সাধারণ কাশি ভেবে এড়িয়ে গিয়ে যখন রোগ ধরা পড়ে তখন সমস্যা অনেকটা বেড়ে যায়। এবার বলি কী ভাবে চিনবেন কোন কাশি কীসের লক্ষণ…
শ্বাসনালীর মধ্যে যেকোনো ধরনের সমস্যার প্রথম লক্ষণ হলো কাশি। ফুসফুসের ক্যান্সারের সময় অনেক সময় শ্বাসনালির পথ রুদ্ধ হয়ে যায় তাই কাশি হয়। আবার অনেক সময়ে ফুসফুসে জল জমে সমস্যা দেখা দেয়। একে বলে প্লুরাল ইফিউশন। এর প্রাথমিক লক্ষণ কাশি। আবার অনেক সময় টিউমার মিউকাস চলাচলের পথ আটকে দেয়। কিন্তু সাধারণ কাশির সঙ্গে এর পার্থক্য হল সাধারণ কাশি কয়েক সপ্তাহের বেশি থাকে না। যদি দেখেন মোটামুটি দু মাস কোন কাশি স্থায়ী হয়েছে এবং ক্রমাগত বেড়েই চলেছে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
এছাড়া শুরুর দিকে ক্যান্সারের কাশির সঙ্গে মিউকাস থাকে না। কিন্তু গলা বা বুক রুদ্ধ হয়ে যায়। মনে হয় সব সময় গলা সাফ করা দরকার। পাশাপাশি আরো কিছু লক্ষণ হলো কাশির সঙ্গে রক্তক্ষরণ।
এছাড়া বুকে ব্যথা যদি কিছুতেই না কমে তাহলে ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে সেটিও। এছাড়া শ্বাস নেওয়ার সময় বা হাসার সময় যদি বুকে ব্যথা অনুভূতি হয় তাহলে সেটি অস্বাভাবিক। অল্প কাজে হাঁপিয়ে ওঠা বা ক্লান্ত লাগার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এছাড়া ক্যান্সার শরীরে বাসা বাঁধলে অনেক সময় গলা বসে যায়। ওজন দ্রুত কমতে শুরু করে এবং ঠান্ডা লাগা,দীর্ঘদিন সংক্রমণ থেকে মুক্তি না পাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়।