মহানগর ডেস্কঃ মন্ত্রীত্ব হারানোর পরেও গলায় দলের জন্য তাঁর ভালবাসার সুর। অবশ্য ভালবাসা শব্দটাই তাঁর মজ্জাগত বললেও ভুল হয়না। আর হবে নাই বাঁ কেন? অমন ভালবাসার অস্তিত্ব না থাকলে মন অত রঙিন থাকা কি সম্ভব হত? এবার নিশ্চয় বুঝতে অসুবিধে হচ্ছে না তিনি কে? ঠিক ধরেছেন, মদন মিত্র। গতকাল ছিল তাঁর ৬৮ তম জন্মদিন। আর সেই জন্মদিন পালন অনুষ্ঠানের শুরু থেকে শেষ সব কিছুতেই ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোঁয়া। মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া পাঞ্জাবিতেই তিনি কেটেছেন কেক।
জন্মদিনের দিন তাঁর শুরুও হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোন দিয়ে। এরপর তৃণমূল সুপ্রিমোর পাঠানো একটি চিঠি নিয়ে আসেন এক কর্মী। সেই চিঠিতেই পাঞ্জাবির বিষয়টা বলা ছিল এমনটাই জানিয়েছেন মদন মিত্র। সেই উপহার তাঁর কাছে আশীর্বাদ স্বরূপ বলেও মদন জানান।
এইদিনই আবেগতাড়িত হয়ে মদন মিত্র বলেন, মন্ত্রীত্ব নাকি মিউজিক্যাল চেয়ারের মত। চেয়ার আজ একজনের তো কাল অন্যজনের হাতে। কিন্তু নাম মনে রাখাটাই আসল। এমন কথা বলেই মদন বোঝাতে চান, বস্তু বাঁ জিনিসের চেয়ে ভালবাসা, সম্মান, শ্রদ্ধা এসবের গুরুত্ব অনেক বেশি। সেইগুলোই চিরদিন মনে থেকে যাবে বলে তিনি মনে করেন। যদিও তাঁর এই কথার বিরোধিতা করে অনেকেই বলেন, যেহেতু তিনি কামারহাটির নেতৃত্ব হারিয়েছেন, তাই মনের যন্ত্রণা দূর করতেই তিনি এসব করেছেন।
কামারহাটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শিক্ষায়, আভিজাত্যে, গৌরবে সবরকম উন্নতিতে কামারহাটি সবার কাছে পৌঁছবে এবং ফের সেখানে তৃণমূলই জয়লাভ করবে বলে দাবি করেন। তবে মদন মিত্র মন্ত্রীত্ব না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন অনেকেই। সেই ক্ষোভ প্রকাশ্যে এলেও মদন মিত্রের কথায় তার ছিটেফোঁটা আভাস মেলে না কখনও। তিনি সবসময়ই স্বীকার করেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রীর খুব কাছের। তিনি তাঁর পাশের কেউ।