মহানগর ডেস্ক: দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই রাজ্যের শাসক দল এবং বিরোধীদের আক্রমণ করার কৌশল শুরু হয়ে গিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অস্ত্র নিয়ে কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) মদন মিত্রের (Madan Mitra) মন্তব্য বিতর্ক তৈরি করেছে রাজনৈতিক মহলে। তিনি দাবি করেছেন, বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া অস্ত্র দিয়ে তৃণমূল কর্মীরা প্রশিক্ষণ নেবেন।
গতকাল অর্থাৎ শনিবার নৈহাটির রাজেন্দ্রপুর মহিলা তৃণমূল পরিচালিত একটি সভায় অংশ নেন বিধায়ক মদন মিত্র। সেখানেই তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘দিলীপবাবু বলেছেন, ওঁরা ওঁদের কর্মীদের ঘরে ঘরে অস্ত্র পৌঁছে দিচ্ছেন। তবে অস্ত্র কোথায় পৌঁছচ্ছে জানতে পারলে আমাদের ভালই হবে। আমাদের কর্মীরা গিয়ে ওগুলো নিয়ে নেবে। আমাদের কাছে ভাল প্রশিক্ষক রয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকেই প্রাক্তন সেনা কর্মী এবং কর্নেল ছিলেন। সেখান থেকে আমাদের কর্মীরা ওই বন্দুক নিয়ে প্র্যাকটিস করবে। যাতে সেগুলো বিজেপির লোকেরা ব্যবহার করতে না পারে। আমাদের কর্মীরা বন্দুকে গুলি ঢোকাতে এবং বার করতেও শিখবে।’
প্রকাশ্যে সাংবাদিকদের মুখোমুখি মদন মিত্রের এহেন মন্তব্য আলোড়ন তৈরি করেছে রাজনৈতিক মহলে। যা শোনার পরই বিরোধীরা নানা মন্তব্য করতে শুরু করেছেন, শাসক দলের বিরুদ্ধে। এমন পরিস্থিতিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ, মদন মিত্রকে গ্যাংস্টার বলে দাবি করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে অনেকে আবার পঞ্চায়েত নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে কতটা হবে, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন।