মহানগর ডেস্ক: শনিবার ‘অগ্নিপথ‘ (Agnipath) সশস্ত্র বাহিনী নিয়োগ প্রকল্প নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন কংগ্রেস (Congress) সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। ফের নিশানা করেছেন কেন্দ্রীয় সরকারকেই। এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) ‘মাফিবীর’ বলে কটাক্ষ করেছেন কেরালার ওয়ানাড়ের লোকসভা সাংসদ। সেইসঙ্গে দিয়েছেন সতর্কবাণী। তাঁর কথায়, যেভাবে তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছিল সরকার, ঠিক সেভাবেই এই সামরিক নীতি বাতিল করতে বাধ্য হবে তারা।
এদিন টুইটারে বিজেপি সরকারের দিকে তোপ দেগে রাহুল গান্ধী লেখেন, ‘জয় জওয়ান, জয় কিষাণ-এর মূল্যবোধকে টানা ৮ বছর ধরে অপমান করছে বিজেপি সরকার। আমি আগেই বলেছিলাম যে, প্রধানমন্ত্রীকে কালো কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে। একইভাবে তাঁকে মাফিবীর হয়ে দেশের যুবকদের মানতে হবে এবং ‘অগ্নিপথ’-কে ফিরিয়ে নিতে হবে’।
আরও পড়ুন: SIT গঠন করেই CBI’র রণকৌশল বৈঠক, তদন্তের গতি প্রকৃতি নিয়ে আলোচনা
গত বছরের নভেম্বরে তিনটি কৃষি আইন বাতিল হওয়ার পরে, প্রধানমন্ত্রী মোদি কৃষকদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার প্রসঙ্গে ‘মাফিবীর’ শব্দটি উঠে এসেছে। ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক বিক্ষোভ প্রদর্শনকারীদের কণ্ঠকে উপেক্ষা করার জন্য শুক্রবার নরেন্দ্র মোদির নিন্দা করেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ। নোটবন্দীকরণ এবং কৃষি আইনের মতো ব্যবস্থার উদ্বৃতি দিয়ে বলেছিলেন, “নরেন্দ্র মোদি বোঝেন না দেশের জনগণ কী চান। তিনি তাঁর ‘বন্ধুদের’ কন্ঠ ছাড়া আর কিছুই শুনতে চান না”। পাশাপাশি এক্ষেত্রে রাহুল গান্ধীর সঙ্গ দিয়েছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্রা সহ সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল ও সিপিআইএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি।
8 सालों से लगातार भाजपा सरकार ने ‘जय जवान, जय किसान' के मूल्यों का अपमान किया है।
मैंने पहले भी कहा था कि प्रधानमंत्री जी को काले कृषि कानून वापस लेने पड़ेंगे।
ठीक उसी तरह उन्हें ‘माफ़ीवीर' बनकर देश के युवाओं की बात माननी पड़ेगी और 'अग्निपथ' को वापस लेना ही पड़ेगा।
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) June 18, 2022
প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহে ‘অগ্নিপথ’ মডেলের ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই অনুযায়ী চার বছরের জন্য দেশের তিন সামরিক বাহিনীতে যুবক-যুবতীদের নিয়োগ করা হবে। এরপর চার বছরের চাকরি শেষে ৭৫ শতাংশ ‘অগ্নিবীর’-দের অব্যহতি দেওয়া হবে। পাবেন মোটা অঙ্কের প্যাকেজ। মোদি সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন সরকারি চাকরিতে অগ্নিবীরদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। কিন্তু সামরিক বাহিনীতে চাকরির জন্য যারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তাঁদের দাবি, অগ্নিপথ প্রকল্পের ফলে তাঁদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তাই নিয়েই বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।