Home Featured MAHATMA GANDHI: দেশ স্বাধীন হওয়ার পরেও নিরাপত্তা পেলেন না কেন ‘জাতির জনক’? প্রশ্ন তুললেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জয়দীপ মুখোপাধ্যায়

MAHATMA GANDHI: দেশ স্বাধীন হওয়ার পরেও নিরাপত্তা পেলেন না কেন ‘জাতির জনক’? প্রশ্ন তুললেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জয়দীপ মুখোপাধ্যায়

by Arpita Sardar
supremr court advocate, jaydeep mukhopadhyay, mahatma gandhi, security, jawaharlal neheru, sardar ballabh bhai patel

মহানগর ডেস্কঃ ১৯৪৮ সালের ৩০ জুন, ‘জাতির জনক’ মহাত্মা গান্ধীর মর্মান্তিক হত্যাকান্ডের কথা জানা নেই এমন মানুষ বিরল। প্রার্থনা সভায় যাওয়ার পথে আততায়ীর গুলিতে ছিন্নভিন্ন হয়ে যাওয়া শরীর মহাত্মা গান্ধীর। গান্ধী মৃত্যুর পর থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সংগঠনের পারস্পরিক দোষারোপের পালা চলে ঠিকই। গান্ধী মৃত্যু সম্পর্কিত বেশ কিছু ফাইল এখনও দেশের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে ক্লাসিফায়েড হিসেবে রক্ষিত। এই ফাইল গুলি অত্যন্ত গোপন এবং স্পর্শকাতর ফাইল হিসেবে ভারত সরকারের কাছে রক্ষিত।

এবার দেশের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে গোটা দেশ যখন আনন্দে মাতোয়ারা তখন গান্ধী হত্যাকান্ডের প্রকৃত রহস্য উন্মোচনের জন্য গান্ধী মৃত্যু সংক্রান্ত সেই ফাইলগুলি ডি ক্লাসিফায়েড করার অনুরোধ জানালেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি জয়দীপ মুখোপাধ্যায়।

তিনি বেশ কিছু বিস্ফোরক তথ্য তুলে ধরে বলেন, জাতীয় কংগ্রেসের শেষ কথা ছিলেন গান্ধী। কংগ্রেস সভাপতি হয়েও সুভাষচন্দ্র কংগ্রেস ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন গান্ধীজির অসহযোগিতার জন্য। সেই মানুষটাই স্বাধীনতার প্রাক্কালে মাইনরিটি হয়ে গিয়েছিলেন নিজের দলের কাছে এমনই দাবি করেছেন জয়দীপ বাবু। তথ্য বলছে ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবসের দিন গান্ধীজি সরকারি অনুষ্ঠানে যোগদান পর্যন্ত করেননি। যে মানুষ ‘জাতির জনক’ হিসেবে আখ্যায়িত তাঁর জন্য কোনও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেননি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল। এর প্রমাণ হিসেবে জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের যুক্তি ১৯৪৮ সালের আগে বেশ কয়েকবার গান্ধীজির উপরে আক্রমণ হয়েছিল। সেই সব আক্রমণের হাত থেকে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তিনি। এই সব আক্রমণ দেখেও তৎকালীন প্রশাসনের নীরব থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি।
একাধিক গান্ধী অনুরাগীই তাঁদের ফ্রেন্ড, ফিলোজফার এবং গাইডের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আশঙ্কাপ্রকাশ করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন শিল্পপতি বিড়লাও। তা সত্ত্বেও কংগ্রেস নেতৃত্বদের গান্ধীর নিরাপত্তার বিষয়ে উদাসীন থাকা একাধিক প্রশ্নের জন্ম দেয় বলেই দাবি করেছেন জয়দীপ মুখোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, নেতাজীর অন্তর্ধান সংক্রান্ত বিষয়ের মত গান্ধী হত্যাকান্ড বিষয়ক ফাইলগুলিও গোপন রাখা হচ্ছে। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও সেই ফাইলগুলি গোপন রাখা আসলে সত্যকে চাপা দেওয়ার একটা প্রচেষ্টা বলেই মনে করেন তিনি। তাই বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জয়দীপ মুখোপাধ্যায় ওই অপ্রকাশিত ফাইলগুলো প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছেন।

You may also like