মহানগর ডেস্ক: ‘আপনি যদি টিকিটের প্রত্যাশী হন কিন্তু টিকিট না পান তাহলে বিরোধিতা করবেন না। শিব যেভাবে বিষপান করেছিলেন, সেভাবেই বিষপান করুন। গলায় আটকে থাকবে। আর যদি বিরোধিতা করেন লোকসভার সময় দেখবেন কপালে প্রচুর দুঃখ আছে।’ ডোমকলের সভা থেকে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে মহুয়া মৈত্র এমনটাই বার্তা দিলেন দলীয় কর্মী সমর্থকদের। কারণ পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। জেলায় জেলায় শুরু হয়ে গিয়েছে ভোটের প্রস্তুতি। প্রচারের মাঝে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দলীয় কোন্দল। কখনও গেরুয়া শিবির তো কখনও বা ঘাসফুল। এবার তেমনই দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্ব নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন মহুয়া মৈত্র।
এদিকে মহুয়ার এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে রাজ্য রাজনীতিতে হইচই শুরু হয়ে গেছে। এর আগেও একাধিক বিতর্কিত মন্তব্য এর জেরে শিরোনামে থেকেছেন মহুয়া মৈত্র। প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি নিচু তলার কর্মীদের ওপর কি ভরসা নেই শীর্ষ নেতৃত্বের?
প্রসঙ্গত, বিগত দিনেও লক্ষ্য করা গেছে ভোটে টিকিট না পেয়ে দলীয় কোন্দল করে বিরোধী দলে যোগ দিতে। এর ফলে একাধিকবার অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল। তাই ২৪ লোকসভা ভোটকে পাখির চোখ করে এগোলে যে আগে পঞ্চায়েতে নিজেদের একাধিপত্য বিস্তার করে পায়ের তলার জমি শক্ত করতে হবে সেটা বুঝে গেছে ঘাসফুলের নেতৃত্বরা। এই আবহে ক্ষমতা দখলের লড়াইকে কেন্দ্র করে কর্মীদের রেষারেষি যাতে দলীয় ভাবমূর্তি নষ্ট না করে, সেদিকে কড়া নজর দিতেই মহুয়ার এই বার্তা।
আর এই আবহে তৃণমূল সাংসদ মহুয়ার বক্তব্য, ‘এই পঞ্চায়েত ভোটটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। দলকে নিজের ক্ষমতা দেখাতে গিয়ে সাময়িক বিরোধী হয়ে যাওয়া ব্যাপারটা একেবারে ঠিক নয়। নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য অন্য দলের সঙ্গে আঁতাত করা যাবে না।’ পাশাপাশি বিজেপিকেও আক্রমণ শানিয়ে বলেন, ‘বিজেপি তৃণমূলের উপর রাজ করতে চাইছে। এটা বুঝতে হবে যে, বিজেপিকে হারানোর একমাত্র উপায় একজনের (মমতা বন্দোপাধ্যায়) ওপর ভরসা রাখা। দশজনের ভোট কাটাকাটি হলে তাহলে আবার চব্বিশে বিজেপি গোল দেবে। আর এই বিজেপি কী জিনিস দেখা আছে। এরা দূর থেকে ঘেউ ঘেউ করে কিন্তু সামনে গিয়ে দাঁড়ালেই ল্যাজ গুটিয়ে পালায়। সংসদে এ ঘটনা তার বহুবার দেখা।’