Home International MAKE UP PRODUCTS: আটা-ময়দা-ভাতের ফ্যান দিয়ে তৈরি মেক আপ পার্লারে বিক্রি হচ্ছে রমরমিয়ে, গ্রেফতার পার্লার মালিক

MAKE UP PRODUCTS: আটা-ময়দা-ভাতের ফ্যান দিয়ে তৈরি মেক আপ পার্লারে বিক্রি হচ্ছে রমরমিয়ে, গ্রেফতার পার্লার মালিক

by Arpita Sardar

মহানগর ডেস্কঃ মহিলাদের ন্যুনতম সাজগোজের ক্ষেত্রে মেক আপের জুড়ি মেলা ভার। নিজেকে একটু সুন্দর দেখানোর জন্য ফাউন্ডেশন, কম্প্যাক্ট ইত্যাদির ব্যবহার জীবনে কোনদিন করেননি এমন মহিলা খুঁজে পাওয়া দায়। কিন্তু মেক আপ ব্যবহার করতে গিয়ে আপনি যদি জানতে পারেন তাতে ব্যবহার করা হচ্ছে আটা, ময়দা, ভাতের ফ্যান? হ্যাঁ, আপনার চক্ষু চড়ক গাছ হয়ে লাভ নেই। এটাই বাস্তব। আরও মজার বিষয় হল সেই মেক আপ দ্রব্যগুলো রমরমিয়ে বিক্রি করা হচ্ছিল বাজারে। এই ঘটনা সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওপার বাংলায়। এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন বাংলাদেশের এক বিউটি পার্লারের মালিক নবীউল্লাহ। তিনি বিউটি পার্লারে এই ধরণের প্রসাধনী ব্যবহার করতেন বলে জানা গিয়েছে।

নবীউল্লাহর কোনও শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিলনা বলেই সূত্রের খবর। অপরিসীম ধনী হয়ে ওঠার ইচ্ছেকে সংবরণ করতে না পেরেই এই ভেজাল প্রসাধনীর ব্যবসায় নেমেছিল নবীউল্লাহ, এমনটাই জানা যাচ্ছে। বাংলাদেশের ঢাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে চলত এই প্রসাধনী তৈরির কাজ। আর সেখান থেকেই ঢাকার চক বাজারের বিভিন্ন প্রসাধনীর দোকান, মেগাশপ, মুদির দোকানে এই ভেজাল প্রসাধনীগুলো বিক্রি করা হত। একইসঙ্গে বিভিন্ন বিউটিপার্লার, সেলুন ইত্যাদিতেও যেত এই মেক আপ। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, নামী প্রসাধনী সংস্থার কৌটো ব্যবহার করে তার মধ্যে এই প্রসাধনী সামগ্রী ভরে বিক্রি করা হত। আর সেই ভেজাল মেক আপের চাহিদাও তুঙ্গে। এতে ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে ভাবছেন অনেকে।

বাংলাদেশ পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, এই প্রথম বার নয়। ভেজাল মেক আপ প্রোডাক্ট তৈরির জন্য ছয় মাসে চারবার গ্রেফতার করা হয় নবীউল্লাহকে। প্রত্যেকবারই জামিনে মুক্ত হয়ে একই কাজ করে সে। সম্প্রতি ফের এই ভেজাল মেক আপ তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে সেখান থেকেই নবীউল্লাহ এবং তাঁর তিন সহকারীকে গ্রেফতার করা হয় পুলিশের তরফে।

You may also like