মহানগর ডেস্কঃ পূর্ব নির্ধারিত সূচি মেনেই বুধবার আনুষ্ঠানিক ভাবে কংগ্রেসের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিলেন মল্লিকার্জুন খাড়্গে। এদিন সকালে তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করান কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী।
সামনেই গুজরাত, হিমাচল প্রদেশ সহ বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। এবার সেই নির্বাচনে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বিরোধীদের সঙ্গে লড়াই করা, সর্বোপরি রাজ্যগুলিতে কংগ্রেস দলকে চাঙ্গা করাই খাড়্গের কাছে এই মুহূর্তের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। ১৯৯৮ সালের লোকসভা ভোটে পরাজয়ের পরে সীতারাম কেশরীকে সরিয়ে কংগ্রেসের দায়িত্বে আসেন সোনিয়া গান্ধী। সেই সময়ে মাত্র তিনটি রাজ্যে ক্ষমতায় ছিল হাত শিবির। আর এবার মল্লিকার্জুন খাড়্গের সময়ে কংগ্রেসের হাতে রয়েছে মাত্র ২টি রাজ্যের ক্ষমতা।
নভেম্বর মাসে হিমাচল প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। ডিসেম্বর মাসে গুজরাতে বিধানসভা নির্বাচনের সম্ভাবনা প্রবল। কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে দুই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন এই মুহূর্তে মল্লিকার্জুন খাড়্গের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এই দুই রাজ্যের কংগ্রেসের মধ্যেই রয়েছে আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব। সেই দ্বন্দ্ব সরিয়ে কংগ্রেস কতটা চাঙ্গা হবে সেটা নির্ভর করছে খাড়্গের দল পরিচালনার উপর। এই রাজনৈতিক জল্পনাকে বুধবার কার্যত অস্বীকার করেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী। কংগ্রেসকে শক্তিশালী এবং কর্মীদের চাঙ্গা করতে মল্লিকার্জুন খাড়্গে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
২০২৩ সালে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় সহ বেশ কিছু রাজ্যেও বিধানসভা নির্বাচন। ছত্তিশগড় ও রাজস্থানে কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকলেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে দলের অবস্থা বিশেষ ভাল নয় বলেই রাজনৈতিক সূত্রের খবর। ফলত ভোটের আগে কংগ্রেসকে ঐক্যবদ্ধ করা মল্লিকার্জুন খাড়্গের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।
২০২৪ সালেই দেশের লোকসভা নির্বাচন। দলিত সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি মল্লিকার্জুন খাড়্গের নেতৃত্বে লোকসভা নির্বাচনে দলিত ও অনগ্রসর শ্রেণির প্রতিনিধিরা নির্বাচনে বড় ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।