মহানগর ডেস্কঃ কলকাতার রাস্তায় ভিভিআইপিদের যাতায়াতের সময় যান চলাচল কোনওভাবেই বন্ধ রাখা যাবে না। এমনকি উল্টোদিকের রাস্তাতেও গাড়ি আটকে রাখা যাবে না। যে কোনও নেতা বা মন্ত্রী এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর যাতায়াতের সময়ও যান নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। সম্প্রতি ট্রাফিক বিভাগের আধিকারিকদের উদ্দেশ্যে এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করে লালবাজার। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা অনুযায়ী লালবাজার এই নির্দেশিকা জারি করেছে। এবার সেই প্রসঙ্গেই কড়া নির্দেশ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্তারা এই বিষয়ে ট্রাফিক বিভাগকে সতর্ক করেছে বলে খবর।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন নির্দেশ দেন, তাঁর গাড়ি যদি রাস্তার উপর দিয়ে যায়, তাহলে অন্য প্রান্তে থাকা গাড়িগুলিকে কোনওভাবে আটকে রাখা যাবে না। কারণ হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যদি তাঁর কারণে গাড়িগুলিকে আটকে রাখা হয়, তাহলে মানুষের ভোগান্তি বৃদ্ধি পাবে।
তবে ট্রাফিক আধিকারিকদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীঊর নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই যান চলাচল একপ্রকার বন্ধ রাখতে হয়। সেই প্রসঙ্গেই কড়া নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পুলিশের একটি মহলের তরফে দাবি করা হয়েছে, গত সপ্তাহে বিধানসভায় রঅনা দেওয়ার সময় রাস্তা সম্পূর্ণ ফাঁকা দেখতে পান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যপাধ্যায়। পরবর্তীতে কারণ হিসেবে তিনি জানতে পারেন, ভিভিআইপি দের গাড়ি যাওয়ার জন্যই যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এরপরেই পুলিশ কর্তাদের কাছে বিষয়টা উপস্থাপন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, কলকাতা শহরের মোট ২৫টি ট্রাফিক গার্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, রাস্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কিংবা অন্য কোনও ভিভিআইপি-র গাড়ি যাতায়াত করলে অন্য প্রান্তে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।
এই নির্দেশিকা প্রসঙ্গে এক পুলিশকর্তা জানান, আগে ভিভিআইপিরা যখন যাতায়াত করতেন তখন যান চলাচল কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা হত । এবার সেই বিষয়টি নিয়েই ভাবা হচ্ছে। তবে যেহেতু মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার বিষয়টা মাথায় রাখতে হয়, সেই কারণে অন্যান্য প্রান্তে গাড়িগুলির উপর নজর রাখতে হবে।