মহানগর ডেস্কঃ নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের মঞ্চ থেকেই বুধবার এনআরসি ষড়যন্ত্র নিয়ে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার প্রান্তিক মানুষজনের মধ্যে পাট্টা বিলির মঞ্চেই দেশবাসীদের সাংবিধানিক অধিকার থেকে শুরু করে নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার রাজনীতির বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান বুঝিয়ে দিলেন সকলকে। এদিন মঞ্চে সাধারণ মানুষকে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, যে কোনও উচ্ছেদ-বিরোধী আন্দোলনে তৃণমূল সরকার সাধারণ মানুষের পাশেই থাকবে।
রাজ্যে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভোটার তালিকার কাজও নিয়ে সতর্ক করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নিজের নাম ঠিক স্বামীর নাম ভুল এসব দেখিয়ে এনআরসি-র নামে ভোটারের নাম যেন কেটে দিতে না পারে। অসমেও অনেকের নাম বাদ দিয়েছিল এই ভাবেই। এনআরসি-র বিরুদ্ধে সরকার বড় আন্দোলন করছে বলেও জানান তিনি। তাই তিনি বাংলার বাসিন্দাদের পরামর্শ দেন নিজেদের নাম ভোটার লিস্টে তওলা দরকার। নয়তো ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠাতে পারে।
পাশাপাশি এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উচ্ছেদ নিয়েও সরব হন। তিনি স্পষ্টই জানান, পুনর্বাসন, ক্ষতিপূরণ ছাড়া বুলডোজার দিয়ে উচ্ছেদ করতে দেওয়া হবেই না। এটা এই সরকারের নীতি নয় বলেই তিনি জানান। রেলের বা এয়ারপোর্টের জমি থেকে তোলা হলেও মানুষকে আন্দোলন গড়ে তোলার পরামর্শ দেন তিনি। তিনি আশ্বাস দেন, সেই আন্দোলনের পাশেও থাকবে রাজ্য সরকার।
বিধানসভার অধিবেশন এবং পাট্টা বিলির মঞ্চ থেকে এদিন সার বরাদ্দে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়েও সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি অভিযোগ করেন, সার কেন্দ্রের হাতে। কেন্দ্র তার তিন ভাগের একভাগ বরাদ্দ করেছে। তিন বার প্রধানমন্ত্রীকে তিনি চিঠি লিখেছেন। তিনি বিধানসভায় বিরোধীদের অনুরোধ করেন, দিল্লিতে রাজ্যের হয়ে কথা বলতে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এর পরিপ্রেক্ষিতে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী সহযোগিতা চাইলে সাহায্য করা হবে। কিন্তু কেন্দ্রকে লেখা চিঠি বিজেপির রাজ্য সভাপতি বা বিরোধী দলনেতাকে দিতে হবে।