মহানগর ডেস্কঃ ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি, আর তার জেরেই দ্রব্য মূল্য ক্রমাগত আকাশছোঁয়া। রাজ্যে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে এবার সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চলতি সপ্তাহের সোমবার নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে টাস্ক ফোরসের সঙ্গে নবান্নে বৈঠক সারেন তিনি।
সবজির দর থেকে শুরু করে মাংসের দাম সব ক্ষেত্রেই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, শীতের মরশুমে উৎপাদিত ফসল বাজারে চলে আসার পরে দাম অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। পাশাপাশি ফুলকপির দাম এখনও কেন ৪০ টাকা সেই বিষয় নিয়েও টাস্ক ফোরসকে সরাসরি প্রশ্ন করেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে দাম কমানোর নির্দেশও দেন তিনি।
আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে মুখ্যমন্ত্রী হিমঘর থেকে আলু বের করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি স্পষ্টই সোমবার জানিয়ে দেন, আলু সোনা নয় যে রেখে দিলে দাম বেড়ে যাবে। ১৫ ডিসেম্বরের পর হিমঘর থেকে আলু বের করার নির্দেশ দেন তিনি। একইসঙ্গে চাষিদের আলুর যথোপযুক্ত আলুর দাম না পাওয়া নিয়ে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি স্পষ্ট নির্দেশ দেন সবজি ও মাছ মজুত রাখা যাবে না। বিক্রি করে দিতে হবে।
আলুর দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি মুরগির মাংসের দাম নিয়েও উদ্বেগপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মুরগির মাংসের দাম যাতে কেজি প্রতি ১৫০ টাকার বেশি না হয় সেই প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন তিনি। পাশাপাশি পোলট্রির খাবারের বর্ধিত দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজ্যেই খাবার তৈরির নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
মূল্যবৃদ্ধির প্রসঙ্গে কেন্দ্রকেও কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি দাবি করেন, গত তিন বছরে ডিজেলের দাম ৩৬ শতাংশ এবং পেট্রোলের দাম ৪০ শতাংশ বেড়েছে। এর প্রত্যক্ষ প্রভাবই পড়েছে বাজারগুলিতে। রাজ্যের বাজার তুলনামূলক ভাবে স্থির রয়েছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।