মহানগর ডেস্ক: গণতন্ত্র ধ্বংস করতে একদল মানুষ তৎপর হয়েছে। এরকমভাবে গণতন্ত্র ধ্বংসের চেষ্টা চলতে থাকলে সরকার আর গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে চালানো সম্ভব হবে না। সরকার চলবে রাষ্ট্রপতির শাসনে। এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) । তাঁর প্রশ্ন, রাষ্ট্রপতি শাসনে সরকার চললে গণতন্ত্র (Democracy) তখন কোথায় যাবে? এ জন্য গণতন্ত্রকে রক্ষা করুন। এটাই তাঁর একমাত্র আর্জি। কলকাতায় ওয়েস্টবেঙ্গল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব জুডিসিয়ারি সায়েন্সের একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, এক শ্রেণির মানুষ সাধারণ মানুষকে অযথা হেনস্থা করছে। যা দেশে রাষ্ট্রপতি শাসনের পরিস্থিতি তৈরি করবে। পাশাপাশি বলেন ভারতের প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিতের স্বল্পমেয়াদ ভারতের বিচারব্যবস্থায় আস্থার পরিবেশ তৈরি করেছিল।
বিজেপির নাম না করে মমতা বলেন, এক শ্রেণির মানুষ সাধারণ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিতের ভূয়সি প্রশংসা করে তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি হিসেবে মাত্র মাস কয়েক সময় পেয়েছিলেন। কিন্তু ওই সময়ের মধ্যেই তিনি দেশের বিচারব্যবস্থা সম্পর্কে মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পেরেছিলাম। জানান, সবাই আসল বিচার ব্যবস্থা কীরকম, তা চাক্ষুষ করেছিল। মুখ্যমন্ত্রী জানান, তাঁর জানা নেই বর্তমান প্রধান বিচারপতিকে অভিনন্দন জানানোর জন্য এই মঞ্চ সঠিক কিনা। তবে তিনি অবশ্যই বলতে চান গত দু মাসে দেশের বিচারব্যবস্থা সম্পর্কে মানুষের আস্থা ফিরে এসেছে। আদালত ধর্মীয় স্থানের মতো। বিচারের আশায় মানুষ আদালতের দরজা ঠকঠক করছে। কাজেই দেশে যে বিচার ব্যবস্থা চালু রয়েছে, এটাই তা প্রমাণ করছে। বিচার ব্যবস্থার প্রশংসা করতে গিয়ে নাম করে মোদী সরকারকে কিন্তু একহাত নিতে ছাড়েননি মমতা। কিছুটা আক্রমণাত্মক মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি কোনওভাবেই বলছেন না দেশের মানুষ বিচারব্যবস্থার প্রতি ভরসা হারিয়েছেন। কিন্তু দেশে যা চলছে,তা জঘন্য থেকে জঘন্যতর। মোদী তথা বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করার পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমকেও আক্রমণ চালান মমতা। তাঁর বক্তব্য তারা মাঝেমাঝেই সমান্তরাল বিচার চালিয়ে যাচ্ছে। প্রচার মাধ্যম বিচারব্যবস্থাকে চালিত করতে পারে না। মুখ্যমন্ত্রীর আর্জি, দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ধ্বংস করা উচিত নয়। ইদানীং বিনাকারণে মানুষকে হেনস্থা করার ঘটনা বেড়েই চলেছে।