মহানগর ডেস্ক: ঘাবড়ে যাওয়ার কিছু নেই। এ দুনিয়াতে সবই হয়। সেই সব হয়-এর দুনিয়ায় বিয়েটা কোনও ব্যাপারই নয়। পকেটে টাকা থাকলে, শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকলে পছন্দমতো মহিলার গলায় মালা দেওয়াটা কোনও ব্যাপারই নয়। এর মধ্যে আর সেরকম নতুনত্ব নেই। কিন্তু ইন্দোনেশিয়ার প্লেবয় কিংয়ের বিয়ে করার ব্যাপারটা একেবারেই আলাদারকম। তাঁর বয়েস হয়েছে। বয়সটা একষট্টি। একটু বেশি বয়েস হয়ে যাচ্ছে কি! এরকম বয়েসে বিয়ে করার খবর পেলে সবাই একটু ভুরু কুঁচকোতেই পারেন। তা কুঁচকোন। তবে যেটা চমকে যাওয়ার মতো ব্যাপার হল। ইন্দোনেশিয়ার (Indonesia) পশ্চিম জাভার মাজালেনগকার চাষি কান এবার অষ্ট আশিবার বিয়ে করতে চলেছেন (Man Marries 88 Times)। এবার নিশ্চয় চমকে উঠেছেন।
তবে এবারের বিয়েতে অবাক হওয়ার মতো একটা ব্যাপার রয়েছে, সেটা হল তিনি বিয়ে করতে চলেছেন তাঁর প্রাক্তন প্রথম স্ত্রীকে। জানিয়েছেন প্রথম স্ত্রীকে জীবনে ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব তিনি ফেরাতে পারেননি বলেই ফের তাঁর গলায় মালা দিতে চলেছেন। প্লে বয় কিং কান সংবাদমাধ্যমকে জানান বহুদিন ধরেই তাঁরা আলাদা রয়েছেন। তবে দুজনের মধ্যে ভালোবাসাটা টানটান রয়েছে। তাঁর প্রাক্তন প্রথম স্ত্রীও এখনও তাঁর ভালোবাসায় ব্যাকুল। প্রথম বিয়ে যখন হয়েছিল,তখন তাঁর বয়েস ছিল চোদ্দ। স্ত্রী তাঁর থেকে বছর দুয়েকের বড় ছিলেন। তবে বিয়েটা বেশিদিন টেঁকেনি। মাত্র দু বছর পরেই দুজনের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। কান জানিয়েছেন তাঁর দরিদ্র মানসিকতার জন্য স্ত্রী তাঁকে বিবাহবিচ্ছেদ করার কথা বলেছিলেন। তিনি রাজিও হয়ে যান। কারণ প্রথম স্ত্রীর কথায় তাঁর রাগ এতটাই হয়েছিল যে তিনি আধ্যাত্মিক সাধনা করে শক্তি অর্জন করেছিলেন যাতে বহু মহিলা প্রেমে পড়েন। তবে চাননি এ জন্য মেয়েদের কোনও ক্ষতি হোক। তাই তাঁদের আবেগ,ভালোবাসা নিয়ে খেলা না করে বিয়ে করেছিলেন তাঁদের। প্লে বয় কিংয়ের কথায়, অনৈতিক কাজ করার থেকে তাঁদের বিয়ে করাটাই ভালো কাজ বলে পরপর বিয়ে করেছিলেন তিনি। তবে সাতাশিটি বিয়ে করার পর তাঁর কটা সন্তান, তা নিয়ে কিছু জানা যায়নি।