মহানগর ডেস্কঃ রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি যে চরমে পৌঁছেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের গ্রেফতারের পরে সেটা অনেক বেশি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এই নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার তদন্তকারীদের নজরে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠের শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। শনিবার ভোরেই মহিষবাথানের একটি বন্ধ টিচার্স ট্রেনিং সেন্টারে হানা দেন ইডি আধিকারিকেরা। তালা বন্ধ কোচিং সেন্টারে প্রবেশ করার জন্য ডাকা হয় চাবিওয়ালাকে। তালা ভেঙে তল্লাশি চালিয়ে ভিতরে প্রবেশ করেন ইডির আধিকারিকেরা।
স্থানীয় সূত্রের খবর, ২০১২ সাল থেকে এই ট্রেনিং সেন্টার চলছে। তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গেছে, এই সেন্টারের মালিক মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ। হঠাতই দু’মাস আগে বন্ধ হয়ে যায় এই কোচিং সেন্টার। এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, তড়িঘড়ি খুলে ফেলা হয় ওই প্রতিষ্ঠানের হোরডিং। মিনারভা এডুকেশন সোসাইটির নামে ওই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি ভাড়া নেওয়া হয়। তদন্তকারীদের কাছে বাড়ির মালিক জানিয়েছেন, গত কয়েক মাস ধরে বাড়ি ভাড়ার টাকা বাকি পড়ে আছে। যারা বাড়ি ভাড়া নিয়েছেন তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করাও যায়নি।
তদন্ত শুরু হতেই কেন তড়িঘড়ি বোর্ড খুলে নেওয়া হল? কারা কারা জড়িত আছেন এই কোচিং সেন্টারের সঙ্গে? কারা প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন এই কেন্দ্রে? এইসব নিয়েই প্রশ্ন জোরদার হচ্ছে।
রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য সকলেই এখন দুর্নীতি কাণ্ডে জেলে। এই দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষগুলোর হাতে একটা গোটা রাজ্যের শিক্ষার ভার কয়েক প্রজন্মের জন্য কতটা ক্ষতিকর পরিস্থিতি তৈরি করতে চলেছে তাই নিয়েই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অভিজ্ঞ শিক্ষাবিদরা।