মহানগর ডেস্কঃ বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীর। ফের বিপাকে পড়লেন মনীশ সিসোদিয়া। এবার তাঁকে তলব করল আসামের আদালত। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার স্ত্রী রিনিকি ভুঁইয়া-র দায়ের করা মামলায় এবার তলব করা হল সিসোদিয়াকে। সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেছেন হিমন্ত। এই মামলাতেই দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রীকে সমন পাঠিয়েছে কামরুপ জেলার মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালত। চলতি মাসের ১৯ তারিখ আদালতে হাজির থাকতে হবে তাঁকে।
মনীশ সিসোদিয়ার অভিযোগ ছিল করোনার সময়ে পিপিই কিটস কেনা নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতি হয় আসামে। তাঁর দাবি বাজারের তুলনায় অনেক বেশি দাম দিয়ে ওই পিপিই কিট কেনা হয়েছিল। বাড়তি দাম দিয়ে ওই কিট কেনার জন্য রিনিকি ভুঁইয়া শর্মার সংস্থাকে বরাত দিয়েছিল অসমের স্বাস্থ্য দফতর। চলতি বছরের জুন মাসে এমনই দাবি করেন সিসোদিয়া। পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, ওই দুর্নীতির নথিও তাঁর কাছে আছে। এই অভিযোগ উড়িয়ে দেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর স্ত্রী। সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের করেছিলেন রিনিকি ভুঁইয়া শর্মা।
বাজারে যে পিপিই কিটস এর দাম ৬০০ টাকা সেটাই বেশি দাম দিয়ে কেনা হয়েছিল রিনিকির সংস্থার কাছে। তিনি অভিযোগ করেন, অসমের সরকার অন্য সংস্থার কাছে ৬০০ টাকা দিয়ে কিছু পিপিই কিটস কিনেছিল। জরুরি ভিত্তিতে কিট সরবরাহ করার জন্য বরাত দেওয়া হয়েছিল রিনিকি এবং তাঁর ছেলের ব্যবসায়িক সংস্থাকে। তাঁদের কাছে ৯৯০ টাকা দরে ওই কিটস কেনা হয়েছিল। একই দিনে ওই পিপিই কিট কেনা হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। এটা একটা বড় অপরাধ বলেও দাবি করেন দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর স্ত্রী দাবি করেন, ওই কিটস দেওয়ার জন্য একটা টাকাও নেওয়া হয়নি। হিমন্ত বিশ্ব শর্মা দাবি করেন, কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জরুরি ভিত্তিতে ওই কিটস দিয়েছিল তাঁর স্ত্রীর সংস্থা। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই ওই কিটস দিয়েছিল তাঁর স্ত্রীর সংস্থা।