মহানগর ডেস্ক: এক মুসলিম নাবালিকার বিয়েতে (Marriage Of Muslim Minors) অনুমতি দিয়েছিল পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট (Punjab And Hariana High Court)। সেই অনুমতিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অব চাইল্ড রাইটস( এনসিপিসিআর)-এর আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের রায় খতিয়ে দেখতে সম্মত হল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এনসিপিসিআরের মতে,হাইকোর্টের অনুমতি পস্কো আইনের ধারা লঙ্ঘন করেছে, যা নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার সামিল। এদিকে নাবালিকাদের বিয়ে নিয়ে এক সমীক্ষা তুলে ধরেছেন সমাজকর্মীরা।
তাঁদের মতে, নাবালিকাদের বিয়ে নিয়ন্ত্রণ না করলে দেশে জন বিস্ফোরণ ঘটাবে। অনেকেরই ধারণা এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের রায় অভিন্ন দেওয়ানি বিধি তৈরির ব্যাপারে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে। সমীক্ষা জানাচ্ছে এ দেশে হিন্দুদের থেকে মুসলিমদের মধ্যে নাবালিকাদের বিয়ের হার বেশি। এমনকী কিশোরী বয়েসে গর্ভধারণেও তারা হিন্দু বা খ্রিস্টানদের থেকে এগিয়ে। জাতীয় পরিবার স্বাস্থ্য সমীক্ষায় জানা গিয়েছে ভারতে ১৫ থেকে ১৯ বছরের কিশোরী ও তরুণীদের সন্তান ধারণের হার সাত শতাংশ।
রিপোর্টে আরও জানা গিয়েছে ৫৩ শতাংশ বিবাহিতা মহিলাদের মধ্যে ১৫ থেকে ১৯ বছরের কিশোরীরা সন্তান ধারণ করছেন। আর এর মধ্যে কিশোরীদের সন্তান ধারণের হার মুসলিমদের মধ্যেই বেশি। শতাংশের হিসেবে ৮.৪। অন্যদিকে খ্রিস্টানদের মধ্যে কিশোরী বয়েসে সন্তান ধারণের হার ৬.৮ শতাংশ। আর হিন্দুদের ক্ষেত্রে তা ৬.৫ শতাংশ। সমীক্ষা আরও জানিয়েছে হিন্দুদের থেকে মুসলিমদের মধ্যে কিশোরী বয়েসে গর্ভধারণের হার ৩০ শতাংশ বেশি। জাতীয় পরিবার স্বাস্থ্য সমীক্ষায় জানা গিয়েছে গর্ভধারণ রুখতে মুসলিমদের মধ্যে কনস্ট্রাসেপটিভ ব্যবহারও অনেক কম। ২০-থেকে ২৪ বছরের মধ্যে থাকা মেয়েদের মধ্যে আঠেরোতে পড়তে না পড়তেই অধিকাংশের বিয়ে হয়ে যায়। বাল্যবিবাহের জন্য হিন্দুদের শাস্তির বিধান থাকলেও মুসলিমদের ব্যক্তিগত আইনে তা সম্ভব নয়। এবার বিষয়টি যাতে নিয়ন্ত্রণ করা যায় তা নিয়ে উদ্যোগ নিচ্ছে এনসিপিসিআর। তবে কিশোরী বয়েসে গর্ভধারণের হার গ্রামেই বেশি বলে সমীক্ষায় জানা গিয়েছে। এনসিপিসিআর জানিয়েছে পস্কো সমস্ত ধর্মের নাবালিকা যাতে ভালো থাকে, সেদিকে নজর রেখে চলেছে।