মহানগর ডেস্ক: এ এক হরিষে বিযাদ দৃশ্য। মেয়েদের জীবন কেন, পুরষদের জীবনে বিয়ে (Marriage With Dead Father Photo) এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। কারণ জন্ম থেকে মানুষ হওয়া বাবা-মায়ের ঘর ছেড়ে বাকি জীবনের মতো মেয়েদের চলে যেতে হয় শ্বশুরবাড়িতে। ছিন্ন হয়ে যায় পুরনো সম্পর্ক। এতে আনন্দ যেমন আছে, তেমনই আছে দুঃখও। একজন মেয়ের জীবনে বিয়ের দিনটি সবসময়ই স্মরণীয় (Memorable)। বিয়ের আসরে কনের সঙ্গে থাকেন বাবা-মা,আত্মীয়স্বজন,ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা। পাত্রী প্রিয়াঙ্কার যখন ন বছর বয়েস,তখন হারিয়েছিলেন বাবাকে ( Lost Father)। ক্যানসার কেড়ে নিয়েছিল তাঁর বাবাকে। সানাই বাজছে, বিয়ের আসর লোকজনের ভিড়। একটা আনন্দের পরিবেশ। বরও এসে গিয়েছে। উলুধ্বনি দিয়ে তাকে বরণ করা হয়ে গিয়েছে। বিয়ের লগ্নও শুরু হতে চলেছে। ঠিক সেসময়ই ছাদনাতলায় বরের সামনে এলেন পাত্রী। তবে ঠাকুর্দার এক হাত ধরে, আরেক হাতে ধরা মৃত বাবার ছবি।
বাবার ছবি হাতে নিয়ে বিয়ের আসরে বসলেন প্রিয়াঙ্কা নামে পাত্রীটি। আর এমন আনন্দ আর দুঃখ মেশানো ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে ইনস্টাগ্রামে। জানিয়েছেন বাবা মারা যাওয়ার পর তাঁর ঠাকুর্দা তাঁকে বড় করে তুলেছেন। ভাইরাল হওয়ায় ভিডিওয় দেখা গিয়েছে কনের পোশাক পরে ঠাকুর্দার হাত ধরে প্রিয়াঙ্কা মৃত বাবার ছবি হাতে নিয়ে বিয়ের আসরে মালা বদল করার জন্য আসনের দিকে আসছেন। তাঁর এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছে হিউম্যানস অফ বোম্বাই। প্রিয়াঙ্কা জানিয়েছেন তিনি যখন ন বছরের তখন, বাবা তাঁকে ছেড়ে চিরকালের মতো চলে যান। সে যা চাইতো, তাই এনে দিতো তাঁর বাবা। বড় প্রিয় ছিল আম। গরম পড়লেই তিনি নিয়ে আসতেন। একটা দুটো নয়। একেবারে বাক্স ভর্তি করে। দারুণ ছিলেন বাবা। বেঁচে থাকার শেষ দুবছরে জানা যায় তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন। সেসময় বেশিরভাগ সময়ই বিছানায় কাটাতেন। বিছানায় শুয়েই বারবার খোঁজ নিতেন মেয়ের। তিনি চলে যাওয়ার পর বাবাকে ভীষণ মিস করে বলে জানিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা। বাবার দোকান মা চালু করেন। দাদারাও তাঁকে সাহায্য করে। প্রিয়াঙ্কা নিজেও মাকে দোকানের ব্যাপারে সাহায্য করে থাকেন। কিন্তু বাবার শূন্যস্থান যে কিছুতেই পূরণ হওয়ার নয়। তাই নিজেকে মাঝেমাঝেই একাকী বোধ করেন প্রিয়াঙ্কা। বাবাকে মনে রেখে তাঁর ছবি নিয়ে বিয়ে করতে এসেছিলেন তিনি।