মহানগর ডেস্ক: আট মাসে পড়ল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। দিন যত গড়াচ্ছে,ততই ভয়ঙ্কর, হাড়হিম করা ঘটনার ( Massive Sex Violence By Russian Army) কথা প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। ইউক্রনের বুচায় ভয়ঙ্কর গণহত্যার (Bucha massacre)ঘটনায় শিউরে উঠেছে তামাম বিশ্ব। পুতিন বাহিনীর তাণ্ডবে স্বপ্নের মতো দেশ ধ্বংসের পাশাপাশি এবার রাশিয়ার সেনাবাহিনীর আরও এক ভয়ঙ্কর কুকীর্তি সামনে নিয়ে এল রাষ্ট্রসঙ্ঘ। তাদের দাবি ইউক্রেনে আগ্রাসনের সময় রাশিয়ার সেনারা সেদেশের মহিলাদের নির্বিচারে ধর্ষণ করেছে (Mercilessly Brutal Rape)। এবং তাদের সে কাজে প্রত্যক্ষ মদত দিয়েছে পুতিন প্রশাসন।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের এক আধিকারিক জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর হাতে তারা তুলে দিয়েছে ভায়াগ্রার মতো উত্তেজক ওষুধ, সামরিক কৌশল অনুযায়ী যাতে ধর্ষণ করতে সেনারা প্ররোচিত হয়। যুদ্ধে যৌন হিংসা বিষয়ক রাষ্ট্রসঙ্ঘের বিশেষ প্রতিনিধি প্রমীলা পাটেন সংবাদ সংস্থা এএফপিকে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ নিয়ে বলতে গিয়ে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর শিউরে ওঠা নানা কীর্তির কথা তুলে ধরেছেন। তিনি জানান, পুতিনের সামরিক কৌশল অনুযায়ী ইউক্রেনের মহিলাদের ধর্ষণে সেনাদের প্ররোচিত করতে তাদের হাতে ভায়াগ্রার মতো যৌন উত্তেজক ওষুধ তুলে দেওয়া হয়েছে। পাটেন একশোরও বেশি ঘটনার কথা তুলে ধরেন যেখানে আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে মহিলারা পুতিন বাহিনীর নির্বিচারে ধর্ষণ ও যৌন হিংসার শিকার হন। শুধু মহিলা বা কিশোরী নন, যৌন হিংসার শিকার হয় পুরুষ ও বালকেরা।
এ বছরের শুরুতে ইউক্রেন নিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের স্বাধীন আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশন একটি রিপোর্ট পেশ করে। ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী ধর্ষণ, অত্যাচার, বেআইনি কার্যকলাপ-সহ একাধিক পাশবিক যুদ্ধাপরাধের ঘটনা ঘটিয়েছে। কমিশনের রিপোর্টে আরও জানানো হয়েছে যুদ্ধের শুরুতে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর যৌন অত্যাচারের শিকার হয়েছে চার বছরের শিশুকন্যা থেকে বিরাশি বছরের বৃদ্ধা। ধর্ষণ, যৌন হিংসাগুলি রেকর্ড করে নির্যাতিতাদের পরিবারের লোকজনকে দেখতে বাধ্য করা হয়েছে। পাটেন জানান, রিপোর্টে শুধু হিম শৈলের চূড়াটুকু দেখা গিয়েছে। জানা যায়নি কতগুলি যৌন হিংসার ঘটনা ঘটেছে। সারা পৃথিবীর পক্ষে আসল ছবিটা জানা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রতিনিধি।