মহানগর ডেস্ক : আমাদের অনেকেরই বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্জি থাকে। কখনো কোন কিছু খাবার থেকে খেলে হয় আবার কখনো অধিক রোদ্দুর কিংবা ধুলো থেকে হয়। আসলে অ্যালার্জেন্সের বিরুদ্ধে শরীরের একটি প্রতিক্রিয়া হলো অ্যালার্জি। যা থেকে হয় শরীরে প্রদাহ, ফুসকুড়ি ,চোখ জ্বালা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া ,হাঁচি ,কাশি এমনকি শ্বাসকষ্ট। আবার এমন কিছু কিছু অ্যলার্জি রয়েছে যার থেকে মুক্তি পেতে ওষুধ চিরসঙ্গী।
কেন হয় অ্যালার্জি : অ্যালার্জি মূলত অ্যাটোপি বা বংশগত। এই রোগের সম্পূর্ণ নির্মূল সম্ভব নয়। বড় পরিসংখ্যান বলছে জিনগত বা বংশগত অ্যালার্জির প্রবণতা গত ৩০ বছর অন্তর বাড়ে। যার মধ্যে বিশেষভাবে দেখা যায় হাঁপানি ,একজিমা আমবাত ইত্যাদি সমস্যাগুলি। এছাড়া ধুলোবালি থেকে অ্যালার্জি, ফুলের রেণু বা কোন গন্ধ থেকে অ্যালার্জি, কোন পোকা কামড় দিলে সেই থেকে অ্যালার্জি, খাবার থেকে অ্যালার্জি ইত্যাদি দেখা যায়।
তবে কিছু ক্ষেত্রে এলার্জিকে সম্পূর্ণ নিরাময় না করা গেলেও অনেকটাই করা কাবু যেতে পারে। আর তার জন্য ভরসা রাখতে হবে দীর্ঘমেয়াদি হোমিওপ্যাথিতে।ধুলো থেকে শ্বাসকষ্ট হলে পোথোস (Pothos), ব্রোমিয়াম (Bromium)
মাছ থেকে অ্যালার্জিতে আর্সেনিক অ্যালবাম (Arsenic Album)
মাংস খেয়ে অ্যালার্জি হলে অ্যান্টিমক্রুড (Antimcrud)
বসন্তকালে অ্যালার্জিজনিত সমস্যায় পালসেটিলা (Pulsatilla)
দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার থেকে সৃষ্ট অ্যালার্জিকে প্রতিহত করে ক্যালকেরিয়া-কার্ব (Calceria-Carb), ইথুজা(Aethusa)।
চিংড়িমাছ, কাঁকড়া বা সামুদ্রিক জীব খেয়ে সমস্যা হলে আর্টিকা ইউরেনস্ (Urtica Urens) উপকারী।
দীর্ঘমেয়াদি রোগে রোগীর সম্পূর্ণ ইতিহাস নিয়ে লক্ষণ অনুযায়ী সালফার, পালস, ন্যাট মিউর, সিপিয়া, থুজা ইত্যাদি ধাতুগত অ্যান্টিমায়াজমেটিক ওষুধের সাহায্য নিলে দীর্ঘস্থায়ী উপকার পাওয়া সম্ভব।
তবে, উপরিউক্ত ওষুধ অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই সেবন করা উচিত নতুবা ফলাফল হিতের বিপরীত হওয়া অনিবার্য।