মহানগর ডেস্ক : বর্তমান বাজারে চাল শুধু রমরমা রুখতে নতুন দাওয়াই এনেছে একটি অ্যাপ। সম্প্রতি কেন্দ্রের তরফ থেকে এক প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে যার নাম ট্রাক অ্যান্ড ট্রেস। নিম্নমানের ওষুধ এবং জাল ওষুধের ব্যবহার রোধ করার জন্যই এই কৌশল নেওয়া হয়েছে।
এই ‘ট্রাক অ্যান্ড ট্রেস’ কী?
মূলত ওষুধের প্যাকেটের গায়ে কিউআর কোড বা বার কোড থাকবে। সেগুলি গ্রাহক স্ক্যান করে অনায়াসে দেখে নিতে পারবেন এই ওসুূদ আসল নাকি জাল। প্রাথমিকভাবে সবচেয়ে বেশি বিক্রিত হওয়া ওষুধের প্যাকেট এই কোড লাগানো হচ্ছে। যার মধ্যে ব্যাপকভাবে বিক্রি হওয়া এন্টিবায়োটিক কার্ডিয়াক এবং ব্যথা যন্ত্রণার ওষুধ রাখা হবে। একইসঙ্গে অ্যান্টি অ্যালার্জিক ওষুধ রাখা হচ্ছে।
কেন্দ্রের একেবারেই নতুন ভাবনা যদিও দশক আগে নেইমার কথা ভাবা হয়েছিল। তবে দেশীয় ফার্ম শিল্প গুলিতে যথাযথ প্রস্তুতি ছিল না। এমন কি ওষুধ রপ্তানির জন্য ট্রাক অ্যান্ড ট্রেস মেকানিজম আগামী বছরের এপ্রিল পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। কয়েক বছর ধরে যে হারে নকল ওষুধ বাজারে ছেড়ে গিয়েছে মূলত তাদেরকে হাতে রাখতে রাষ্ট্রীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এই ধরনের অভিযান চালিয়েছে।
সম্প্রতি সামনে এসেছে জাল থাইরয়েড ওষুধ থাইরোনর্ম ব্যাপকভাবে বাজার ছেয়ে গিয়েছে। ওষুধগুলো অত্যন্ত নিম্নমানের একইসঙ্গে নকল। সরি জুন মাস থেকে সরকারের ফার্মা সংস্থাগুলিকে ওষুধের প্যাকেজের ওপর বারকোড অথবা কিউআর কোড লাগাতে বলেন। এর সঙ্গে যুক্ত থাকবে সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন যা গ্রাহক খুব সহজেই মোবাইল ফোন মারফত দেখে নিতে পারবেন। তবে এই ব্যবস্থা কার্যকরী হতে ওষুধ শিল্পের ওপর ৩-৪ শতাংশ খরচ বাড়বে।