মহানগর ডেস্কঃ শিশুদের অপুষ্টির সমস্যার সমাধান এবং স্কুলের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে মিড ডে মিল প্রকল্পের সূচনা। অথচ বাজারদরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ওই প্রকল্পের বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে না বলে অভিযোগ জেলা প্রাথমিক সংসদের। অভিযোগের তির কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে।
সম্প্রতি মিড ডে মিলের বরাদ্দ বাড়িয়েছে কেন্দ্র। প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের দাবি, সেই বরাদ্দ এক টাকারও কম। প্রাথমিকে ৪৮ পয়সা বাড়িয়ে মাথা-পিছু দৈনিক ৫.৪৫ টাকা ধার্য করা হয়েছে মোদী সরকারের তরফে। উচ্চ প্রাথমিকে বরাদ্দ বেড়েছে ৭২ পয়সা, বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮.১৭ টাকা।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের দাবি, আপাতত যা বাজারদর তাতে সপ্তাহে দু’দিন করে পড়ুয়াদের পাতে ডিম দিতে পারছেন না তাঁরা। সপ্তাহে ন্যূনতম একদিন ডিম দেওয়া শুরু হয়েছে। ডিমের খামতি পূরণে দেওয়া হয়েছে সয়াবিন। তবে সার্বিকভাবেই মিড ডে মিলের জন্য বরাদ্দ অর্থে আগামী দিনে আরও সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কাপ্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ।
এই সমস্যায় শিশুদের পুষ্টি নিয়েও চিন্তিত চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানিয়েছেন, ডিমে অ্যালবুমিন নামে যে প্রোটিন থাকে, তার সঙ্গে সয়াবিনের তুলনা চলে না কখনোই। এই বিশেষ প্রোটিনের অভাব ক্রমশ প্রভাবিত করে শিশুদের স্নায়ুতন্ত্রকে। তাতে শিশুরা আগামী দিনে দুর্বল হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কাপ্রকাশ করেছেন শিশুবিশেষজ্ঞরা।
কেন্দ্রের প্রতি প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের এই ক্ষোভকে অস্বীকার করা হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে স্পষ্ট দাবি, সরকারি মূল্যে ডিম মিললে তা একাধিক দিন দেওয়া যেতে পারে। পাশাপাশি, জানানো হয়েছে তামিলনাড়ু, কেরালা যেখানে নিজেরাই বরাদ্দ বাড়াচ্ছে, সেখানে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন তা করছে না তাই নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে কেন্দ্র।