মহানগর ওয়েবডেক্স: যাদবপুর এলাকার বাসিন্দাদের বাড়িতে ওষুধ পৌঁছনোর দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিলেন অঞ্চলের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। পরিচিতিটা তার অভিনেত্রী হিসাবেই কিন্তু ভোটে জিতে হয়েছেন সাংসদ। আর সেই গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব যথেষ্ট দক্ষতার সঙ্গে পালন করছেন মিমি। কিছুদিন আগেই করোনা মোকাবিলায় যাদবপুর এলাকাবাসীর জন্য সাংসদের ত্রাণ তহবিল থেকে দান করেছেন ৫০ লক্ষ টাকা আর ব্যাক্তিগতভাবে ও মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দিয়েছেন ১ লক্ষ টাকা। এবার প্রয়োজনীয় পরিষেবার দায়িত্বও তুলে নিলেন নিজের কাঁধে।
দেশজুড়ে লাগু রয়েছে লকডাউন, রাস্তায় দেখা নেই কোনও গাড়ির। নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ছাড়া পাওয়া যাচ্ছে না কোনও কিছুই। এরই মাঝে নিজের সংসদীয় এলাকায় সাধারণ মানুষের প্রয়োজনীয় ওষুধ কিনতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সেই ব্যবস্থা করলেন মিমি। এদিন নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে সাংসদ জানিয়েছেন, লকডাউন পরিস্থিতিতে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের বাসিন্দাদের জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধের পরিষেবা প্রদানের ব্যবস্থা করলেন তিনি।
পাটুলি, গড়িয়া, সোনারপুর, নরেন্দ্রপুর সংলগ্ন এলাকায় যদি কোনও ব্যাক্তির ওষুধের প্রয়োজন হয় তাহলে ফোন করতে হবে ৮৯৬৭৪৬৬৪৫৫ নম্বরে৷ হোয়াটসঅ্যাপ করে পাঠাতে হবে প্রেসক্রিপশন৷ একজন সাংসদ প্রতিনিধি বাড়িতে পৌঁছে দেবে প্রয়োজনীয় ওষুধ৷ বাড়িতে ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার এই পরিষেবা পাওয়া যাবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে, অর্থাৎ ওষুধের মূল্য দিলেই বাড়িতে পৌঁছে যাবে ওষুধ!
মিমির এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এর আগে শুধুমাত্র সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই নয়, লকডাউনে পথ কুকুরদের নিয়মিত খোঁজ নিচ্ছে এবং খাওয়াচ্ছে তার দলের একজন সদস্য, সেই কাজের প্রশংসা করে সকলকে এগিয়ে আসার ডাকও দিয়েছেন মিমি চক্রবর্তী।