মহানগর ডেস্ক: মসজিদের আদলে তৈরি বাসস্ট্যান্ড (Mosque Like Busstand) বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হবে। কর্ণাটকের বিজেপি সাংসদের এমন হুঁশিয়ারি ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। গেরুয়া শিবিরের সাংসদ প্রতাপ সিমহা (BJP MP Pratap Simha) জানিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়া তিনি বাসস্ট্যান্ডটি দেখেছেন। ওই বাসস্ট্যান্ডের দুটি গম্বুজ রয়েছে। বড়টি মাঝখানে। ছোটটি পাশে। মসজিদে এরকম থাকে। তিনি জানান, ওই বাসস্ট্যান্ড তিন চারদিনের মধ্যে ভেঙে ফেলার জন্য তিনি ইঞ্জিনিয়ারদের বলেছেন। তাঁরা যদি না পারেন, তাহলে তিনিই জেসিবি নিয়ে এসে ভেঙে ফেলবেন। তাঁর এই হুঁশিয়ারির পরেই সমালোচনায় ফুঁসে উঠেছে কংগ্রেস। কর্ণাটক কংগ্রেসের প্রধান সালিম আহমদে জানান এটা মাইসুরু সাংসদের বোকা বোকা বিবৃতি। সরকারি অফিসগুলিতে তো গম্বুজ রয়েছে,তাহলে সেগুলোও কী তিনি ভেঙে ফেলবেন ? অন্যদিকে অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুরে একটি মসজিদ তৈরির জন্য দরগা ভেঙে ফেলা ঘিরে অশান্তি দেখা যায়।
যদিও পুলিশ জানিয়েছে এই মুহূর্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনার সূত্রপাত অক্টোবরের বারো তারিখে। ওইদিন কিছু লোক এলবি নগরে হাতুড়ি দিয়ে দরগা ভেঙে ফেলতে শুরু করে। এরপর স্থানীয়রা এসে কাজ থামিয়ে দেয়। ওই দরগায় গত চল্লিশ বছর ধরে সমস্ত ধর্মের মানুষ প্রার্থনা করে আসছেন। তারা ওই একই জায়গায় দরগা থাকার দাবি জানান। এদিকে বিজেপির জাতীয় সম্পাদক ও অন্ধ্রপ্রদেশের দলের কো-ইন-চার্জ সুনীল দেওধর টুইটারে লেখেন, এই ভিডিওটি সেই গুন্টুর,যেখানে সংখ্যালঘু তোষণকারী জগন্মোহন সরকার রয়েছে। তারা সেন্ট্রালি লোকেটেড জিন্না টাওয়ারের জন্য গর্ববোধ করে। এখন স্থানীয় মুসলিম বিধায়কের গুন্ডারা মসজিদ বানানোর জন্য হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় দরগা ভাঙছে। কিন্তু অন্ধ্রের বিজেপি তা হতে দেবে না।
সূত্রের খবর, এই বাজিবাবা দরগা তৈরি করেছিলেন এএস রতনাম ওরফে রহমান, যিনি ওই জায়গায় গত চল্লিশ বছর ধরে রয়েছেন। ওই জমিতে পনেরো বছর আগে নিজের প্রয়াত স্ত্রীর জন্য সমাধি তৈরি করেছিলেন। তিনি তাঁর মেয়ে ও প্রতিবেশিদের বলে গিয়েছিলেন তাঁর মৃত্যুর পর সেখানে একটি মসজিদ যেন তৈরি করা হয়। রতনাম ২০২০ সালে কোভিডে মারা যান। তাঁর মেয়ে ওই জমির আইনগত উত্তরসূরি জমিটি মসজিদ তৈরি করার জন্য দান করেন। কিন্তু প্রতিবেশি পাঁচটি পরিবার দাবি করেন সেখানে যেন দরগাই থাকে। পুলিশ জানিয়েছে এনিয়ে তারা কোনও অভিযোগ পায়নি। তবে মৃদু উত্তেজনা দেখা দেওয়ায় আরডিও-কে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। সাধারণ মানুষকেও ওই জমিতে না যাওয়ার অনুরোধ করা হয়।