মহানগর ডেস্ক: একে অপরকে পছন্দ করেই বিয়ে, কিন্তু বিয়ের পর থেকেই শুরু হয় নির্যাতন। কারণ পণ। বিয়ের পর থেকেই নানা অজুহাতে পণ চাওয়া হত বউয়ের বাপের বাড়ির কাছ থেকে। আর সেই পণ দিতে ব্যর্থ হওয়াতেই এবার প্রাণ গেল বছর ২৬ এর রিংকি শীল মণ্ডলের। ঘটনাটি ঘটেছে মালদাতে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেরা পলাতক (Murder)।
জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক বছর আগে মালদার শহরের কৃষ্ণপল্লী নেতাজি কলোনির বাসিন্দা রিংকি শীলের বিয়ে হয়, যদুপুরের বাসিন্দা ছোটন মণ্ডলের সঙ্গে। প্রেম করেই বিয়ে হয় তাঁদের। প্রথমে একে অপরকে পছন্দ করে, তারপর পরিবারের সম্মতিতে দাঁড়িয়ে থেকে বিয়ে হয় রিংকি এবং ছোটনের। বর্তমানে এই দম্পতির একটি সন্তানও রয়েছে। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই শুরু হয় অশান্তি। পণের দাবিতে বারংবার রিংকির উপর অত্যাচার চালাত, স্বামী সহ তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা, এমনই অভিযোগ রিংকির বাবার।
সম্প্রতি ছোটন মণ্ডল অর্থাৎ রিংকি দেবীর স্বামীর একটি টোটো কিনবেন বলে রিংকির কাছে ২ লক্ষ টাকা চেয়ে বসে। মৃতার বাবার দাবি, মেয়েকে বারংবার সেই দু’লক্ষ টাকা বাপের বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দিত। তা নিয়ে মাঝেমধ্যেই তাঁদের মধ্যে ঝামেলা-অশান্তি হতো। এরই মাঝে বৃহস্পতিবার মাঝরাতে শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার হয় রিংকির থেঁতলে যাওয়া মৃতদেহ।
মৃতার বাপের বাড়ির লোকেদের দাবি, ভারি কোনও বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে রিংকিকে। যার ফলেই রিংকির মুখ পুরো থেঁতলে গিয়েছে। ঘরের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিল বধূর মৃতদেহ। পুলিশ খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছায় এবং মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।