মহানগর ডেস্ক: মঙ্গলবার দেওঘর বিমানবন্দরের (Deoghar Airport) উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী। এখন দেওঘর থেকে আকাশপথে কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৭৫ মিনিট। ২০১৮-র মে মাসে বিমানবন্দরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের পর আজ তাঁর উদ্বোধন করেছেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। রাঁচির পরে এটি ঝাড়খণ্ডের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। তৈরিতে খরচ হয়েছে ৪০১ কোটি টাকা।
সূত্র অনুযায়ী, আপাতত কলকাতা পর্যন্ত চালু হচ্ছে এই বিমান পরিষেবা। পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবাও শুরু হবে এখানে। এদিন বিমানবন্দর উদ্বোধনের পাশাপাশি আরও বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন নমো। প্রসঙ্গে বলেছেন, বহুদিন আগেই দেহঘর বিমানবন্দরের স্বপ্ন দেখেছিলাম আমরা। তাঁর বক্তব্য, ‘১৬ হাজার ৮০০ কোটি টাকার উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলির মাধ্যমে ঝাড়খণ্ডের আরও উন্নতি হবে। এই প্রকল্পগুলি মানুষের জীবনযাত্রার উন্নয়নের পাশাপাশি ব্যবসার সুযোগ বাড়াবে। ট্যুরিজমের সুযোগও তৈরি হবে। শিল্পোদ্যোগের সুযোগও বাড়বে’।
সেইসঙ্গে মোদি আরও বলেন, রাজ্যগুলির বিকাশের সঙ্গে জড়িত রাষ্ট্রের বিকাশ। গত আট বছর ধরে এই চিন্তাধারাকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। গত এই কয়েক বছরে রাজপথ, রেলপথ, বায়ুপথ, জলপথ সর্বপথে ঝাড়খণ্ডকে যুক্ত করার পেছনে এই ভাবনাই ছিল। এবার রাঁচির বিরসা মুণ্ডা বিমানবন্দরের সঙ্গে নাম জুড়ল দেহঘর বিমানবন্দরের। ৬৫৪ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত এই বিমানবন্দরে রানওয়ের দৈর্ঘ্য ২৫০০মিটার। দু’ধরনের বিমানই ওঠানামা করতে পারবে এখানে।