মহানগর ডেস্কঃ বৃহস্পতিবার হরিয়ানায় সব রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের নিয়ে আয়োজন করা হয়েছে ২ দিনের চিন্তন শিবিরের। সেখানেই শুক্রবার ভার্চুয়াল বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই বক্তব্যের মাধ্যমেই দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানান, সংবিধান অনুযায়ী আইন-শৃঙ্খলা রাষ্ট্রের ব্যাপার হলেও দেশের ঐক্য ও অখণ্ডতা রক্ষার স্বার্থে রাজ্যগুলির উপরও সেই দায় বর্তায়। সেই ব্যাপারে প্রতিটি রাজ্যকে অন্য রাজ্যগুলির থেকে শিক্ষা নিতে হবে বলে তিনি জানান।
শুক্রবার এই ভার্চুয়াল ভাষণে দেশের প্রধানমন্ত্রী নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে কেন্দ্র এবং রাজ্য সংস্থাগুলিকে একসঙ্গে কাজ করার পরামর্শ দেন। তিনি জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় রাজ্যগুলির একে অপরের থেকে অনুপ্রেরণা গ্রহণ করা খুব জরুরি। তাঁর স্পষ্ট দাবি, দেশের স্বার্থেই এই শিক্ষা নেওয়া প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আরও জানিয়েছেন, দেশ স্বাধীনতার অমৃতকালে পৌঁছেছে। এই সময়ে দাসত্বের থেকে মুক্তি এবং উন্নততর ভারত ভারত গড়ার লক্ষ্যে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। পাশাপাশি তিনি জানান, সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ছাড়া এ কাজ সম্ভব নয়। মোদী জানান, অনেকসময় তদন্তের স্বার্থে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে রাজ্যগুলিতে যেতে হয়। রাজ্যগুলির দায়িত্ব এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে সাহায্য করার।
এদিন ভার্চুয়াল ভাষণে সাইবার ক্রাইম নিয়েও সরব হতে দেখা যায় নরেন্দ্র মোদীকে। নাম না করে পাকিস্তানকে নিশানা করে মোদী জানান, সীমান্ত থেকে ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহার করে যেভাবে অস্ত্র ও মাদক পাচারের ঘটনা ঘটছে তাতে তিনি রীতিমত উদ্বিগ্ন। এর মোকাবিলায় দেশের আইনশৃঙ্খলাকে আরও বেশি তৎপর হতে বলে জানান তিনি। সন্ত্রাস কিংবা দুর্নীতি দমনে কেন্দ্রীয় সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলির কথাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এই পদক্ষেপগুলোই দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষের আস্থা আনতে সহায়ক বলে দাবি করেন তিনি।
অমিত শাহের নেতৃত্বে ২ দিন ব্যাপী এই চিন্তন শিবিরে উপস্থিত মোট ৮টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং ১৬ টি রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই আমন্ত্রণ পেলেও এই অনুষ্ঠান অংশগ্রহণ করেননি।