মহানগর ডেস্ক: বন্দে মাতরম এবং জনগণমণের একই মর্যাদা (National Anthem And National Song) । দেশের নাগরিকদের দুটি সঙ্গীতের প্রতি সমান শ্রদ্ধা জানানো উচিত। ভারতীয়দের ভাবাবেগ ও মনস্তত্ত্বে জাতীয় সঙ্গীতের একটি অন্য জায়গা রয়েছে। দিল্লি হাইকোর্টে এমনই জানাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তারা জানিয়েছে ১৯৫০ সালের ২৪ জানুয়ারি ভারতের গণপরিষদ জনগণ মনকে জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গ্রহণ করেছিল। কীরকম পরিবেশে, কীভাবে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হবে, তারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ১৯৭১ সালে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ায় বাধাদান বা কোথাও তা গাওয়া হলে সেখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হলে তা প্রিভেনশন অব ইনসাল্ট টু ন্যাশনাল অনার অ্যাক্টের আওতায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে বলে আইনি অনুমোদন দেওয়া হয়।
বিজেপি নেতা ও আইনজীবী অশ্বিনীকুমার উপাধ্যায়ের করা জনস্বার্থ মামলায় এ কথা জানায় কেন্দ্রীয় সরকার। আবেদনকারী জাতীয় স্তোত্র ও জাতীয় সঙ্গীতের মধ্যে সমতা চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টে ওই আবেদন করেন। তিনি জাতীয় সঙ্গীত বন্দেমাতরমকেও সমান মর্যাদা দিতে নির্দেশিকা তৈরি করার আর্জি জানান। তবে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে বন্দে মাতরমের ক্ষেত্রে একই আইনি ধারা রচনা করা হয়নি। কোন পরিস্থিতিতে তা গাওয়া হবে, সে ব্যাপারে কোনও নির্দেশিকা তৈরি করা হয়নি। কেন্দ্র এর আগে সুপ্রিম কোর্টে আবেদনকারীর এ নিয়ে আর্জি নিয়ে রায়ের উল্লেখ করে। ২০১৭ সালের সতেরোই জানুয়ারি শীর্ষ আদালত রায় দিতে গিয়ে জানিয়েছিলে তাদের পর্যবেক্ষণে ভারতীয় সংবিধানের ৫১ক(ক) ধারায় জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে কোনও উল্লেখ নেই। শুধু জাতীয় পতাকা ও জাতীয় স্তোত্রের উল্লেখ রয়েছে।