মহানগর ডেস্কঃ ফের পাঠ্যক্রমে বিভাজনের অভিযোগ। কেন্দ্রীয় সরকার অনুমোদিত এনসিইআরটি-র দ্বিতীয় শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে ধর্মীয় বিভাজনের অভিযোগে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া। এই সাম্প্রদায়িক বিভাজন নিয়ে কেন্দ্রের শাসক দলকে তীব্র কটাক্ষ বিরোধী দল কংগ্রেসের।
এনসিইআরটি-র দ্বিতীয় শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে একটি অধ্যায় আছে যেখানে বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক উৎসব সম্পর্কে পরিচিতি আছে। সেই অধ্যায়ে ইদ-উল-ফিতর নামক মুসলমানদের উৎসবের উল্লেখ রয়েছে। যার সম্পর্কে লেখা আছে এই দিন তাঁরা মসজিদে নামাজ পড়েন এবং সিমুই নামক একটি বিশেষ মিষ্টি খেয়ে থাকেন। পাশাপাশি গণেশ চতুর্থীর দিনে উৎসব সম্পর্কে লেখা আছে, এই উৎসবের দিনে আমরা ভগবান গণেশের আরাধনা করে থাকি। মূলত ভগবান গণেশের জন্মতিথি পালন করা হয় ওইদিন। এই বিষয় নিয়েই বিতর্কের সূত্রপাত। পাঠ্যপুস্তকের ওই অধ্যায়ের একটি পৃষ্ঠার ছবিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এই আমরা-ওরা বিভাজন নিয়েই রাজ্যের শাসকদলকে তীব্র আক্রমণ করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, আমরা বনাম ওরা এই ছোট ছোট ধাপে বিভাজন শুরু হয়েছে। শিশুদের জীবনের শুরুর দিকেই সেই বিষয়টা ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। খুব দেরি হয়ে যাওয়ার আগে এই বিভাজনের ধারা বদলানোর প্রসঙ্গের উল্লেখ করেন কংগ্রেস নেতৃত্বরা। তাঁরা দাবি করেন এখানেই রাহুল গান্ধী এবং অন্যদের উদ্যোগে ভারত-জোড়ো যাত্রার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
পাঠ্যপুস্তক ঘিরে বিতর্ক নতুন কোনও বিষয় নয়। উত্তরপ্রদেশে দ্বাদশ শ্রেণির সিলেবাস থেকে রবীন্দ্রনাথ এবং সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণাণের নাম বাদ দেওয়া হয়। পাশাপাশি কিছুদিন আগেই কর্ণাটকের একটি স্কুল পাঠ্য বইতে লেখা হয় বিপ্লবী সাভারকার জেলবন্দী থাকার সময় রোজ বুলবুলির পিঠে চেপে মাতৃভূমিকে দেখতে আসতেন। এই নিয়ে বিতর্কও তুঙ্গে ওঠে। এই নিয়ে তীব্র সমালোচনার ঝড়ও ওঠে দেশ জুড়ে।