ডেস্ক: কথায় বলে প্রেমের বয়েস নেই (No Age For Love)। সিনেমায় এমন অল্প কয়েকটা উদাহরণ থাকলেও বাস্তবে তা দেখা যায় খুব,খুব কম। বলিউডে চিনি কম, দিল চাহাতা হ্যায়, দ্য লাঞ্চ বক্স ছবিতে বয়সের ফারাক থাকলেও সে অবশ্য তেমন নয়। তবে নিঃশব্দ ছবিতে অমিতাভ বচ্চন-জিয়া খানের বয়েস ছিল বিস্তর। যদিও ইউটিউবার বাসিত আলি এমন একটি সত্যি প্রেমের কাহিনি (True Love Story) সামনে এনেছেন,তাতে বৃদ্ধস্য তরুণী ভার্যা কথাটা অক্ষরে অক্ষরে ফলে গিয়েছে। এখানে প্রেমিক আর প্রেমিকার বয়সের ফারাক পঞ্চাশ বছর। পাকিস্তানের ঘটনাটি বাসিত আলি পোস্ট করেছেন ইউটিউবে। প্রেমিক লিয়াকত আলির বয়েস সত্তর বছর। আর প্রেমিকা সুমেইলি আলির বয়েস উনিশ মানে তরতাজা তরুণী। আর সেই উনিশ বছরের তরুণী প্রেমে পড়লেন সেই সত্তর বছরের বৃদ্ধের।
শুধু প্রেমে পড়াই নয়। রীতিমতো ধর্মীয় রীতি মেনে গাঁটছড়া বাঁধলেন দুই অসম বয়েসি নারী-পুরুষ। তাঁদের এই অসম্ভব বিয়ে এই মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। তা এই অসম্ভব প্রেমের জন্ম হল কী করে! আসলে এই প্রেমের সূত্রপাত মর্নিং ওয়াকে। সেখানে যাতায়াত করতে করতেই প্রেমের উন্মেষ। লিয়াকত আলি জানিয়েছেন তিনি লাহোরে থাকার সময় মর্নিং ওয়াক করতেন। সেখানেই সুমেইলির সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। তারপর সেই ভোরের আলোতেই আস্তে আস্তে ফুটেছিল প্রেমের ফুল। আর সেটা হল সুমেইলির পেছন পেছন গুনগুনিয়ে গান করতেই জন্ম হয়েছিল প্রেমের। সদ্য বিবাহিতা সুমেইলি জানাল ভালোবাসায় কেউ বয়েসের কথা মাথায় রাখে না। এই অসম-বয়েসের বিয়েতে তার পরিবার প্রথমে আপত্তি জানিয়েছিল তবে বোঝানোর পর তারা আর আপত্তি করেনি। লিয়াকতকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল এত বয়েসের পার্থক্য থাকলে বিয়ে করা কী উচিত? জবাবে তাঁর সাফ জবাব, কার বয়েস বেশি আর কার বয়েস কম, সেটা ধর্তব্যের মধ্যে পড়ে না। যে কেউ আইনত বিয়ের উপযুক্ত হলেও যে কেউ বিয়ে করতেই পারে।