মহানগর ডেস্ক: রবিবার দিল্লিতে প্রথম এবং দেশে চতুর্থ মাঙ্কিপক্সে (Monkeypox) আক্রান্তের খবর মিলেছে। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী কেজরিয়াল (Arvind Kejriwal) জানিয়েছেন যে, “আতঙ্কিত হওয়ার কোনও দরকার নেই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে”। একদিকে ফের বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। অন্যদিকে গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে মাঙ্কিপক্স। রবিবার জানা গিয়েছে, দিল্লিতে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন একজন। দেশে এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪-এ।
এরপরই কেজরিওয়াল দিল্লিবাসীদের উদ্দেশে বার্তা দিয়ে বলেছেন, ‘রাজধানীতে মাঙ্কিপক্সের প্রথম কেস ধরা পরেছে। এখন রোগী স্থিতিশীল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ভয়ের কোনও কারণ নেই। আমরা এলএনজেপি-তে একটি পৃথক আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করেছি। এই ভাইরাস মোকাবিলায় চিকিৎসকদের সেরা টিম কাজ করছে’। মূলত LNJP রাজধানীতে মাঙ্কিপক্সের নোডাল হাসপাতাল।
The first case of Monkeypox was detected in Delhi. The patient is stable and recovering.
There's no need to panic. The situation is under control.
We have made a separate isolation ward at LNJP. Our best team is on the case to prevent the spread and protect Delhiites.
— Arvind Kejriwal (@ArvindKejriwal) July 24, 2022
এদিন যার মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে, তিনি পশ্চিম দিল্লির ৩১ বছর বয়সী বাসিন্দা। তাঁর বিদেশ ভ্রমণের কোনও হিস্ট্রি নেই। কিন্তু তা সত্ত্বেও এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তির মধ্যে এই রোগের লক্ষণ কমপক্ষে ১০ দিন আগে থেকে শুরু হয়েছিল। শুক্রবার তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল LNJP-তে এবং তাঁর নমুনা পাঠান হয় পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে। যেখান থেকে আজ রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এই নিয়ে ভারতে মাঙ্কিপক্সের চারটি কেস পাওয়া গিয়েছে। বাকি তিনজন কেরালার। যদিও বা তাঁদের বিদেশ থেকে আসার রেকর্ড রয়েছে।
অন্যদিকে এখনও পর্যন্ত ৭৫ টি দেশে মাঙ্কিপক্স ভাইরাসে ১৭ হাজারেরও বেশি কেস রিপোর্ট করা হয়েছে। শনিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ধীরে ধীরে এই ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে। একাধিক ভাবে এই ভাইরাস ছড়াচ্ছে। যা নিয়ে সতর্কতা ইতোমধ্যেই জারি করা হয়েছে। প্রথম দেশে ১২ জুলাই এক ব্যক্তির দেহে ধরা পরে এই ভাইরাস। এরপর আরও দুজনের শরীরে এই ভাইরাস মিলেছে। কিছুটা হলেও স্বস্তি ছিল যে, তাঁরা বিদেশ ভ্রমণে গিয়েছিলেন। তারপর এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু রবিবার যেই ব্যক্তির দেহে এই ভাইরাস মিলেছে, তাঁর কোনও বিদেশ ভ্রমণের কাহিনী নেই। তাই এই নিয়ে একটু হলেও চিন্তিত চিকিৎসক মহল।