মহানগর ডেস্ক: বুধবার তৃণমূলের প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। তৃণমূল নেত্রীর কথায়, “আরএসএস-এর সবাই খারাপ নয় এবং বিজেপিকে সমর্থন করেন না এমন অনেকেই আছেন”। কিন্তু তাঁর এই মন্তব্যের পরবর্তীতে এআইএমআইএম, কংগ্রেস ও সিপিএম বৃহস্পতিবার নিশানা করেছে তাঁকে। তাঁরা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে সুবিধাবাদী হিসেবে দেখছে।
বিজেপির কথায়, তৃণমূল সুপ্রিমোর কাছ থেকে কোনও শংসাপত্রের প্রয়োজন নেই। এদিকে আরএসএস বাংলায় চলতে থাকা রাজনৈতিক সহিংসতার দিকে আঙুল তুলেছে। পাশাপাশি এআইএমআইএম প্রধান আসাদ উদ্দিন ওয়েইসি তীব্র আক্রমণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বৃহস্পতিবার তিনি বলেছেন, ২০০৩ সালেও আরএসএসকে দেশপ্রেমিক বলেছিলেন। পরিবর্তে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ তাঁকে দুর্গা বলে ডাকতেন। যার দল গত বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ নির্বাচনী এলাকা সহ একটিও আসন জিততে পারেনি, সেখানে আশা করি টিএমসির মুসলিম মুখগুলি তাঁর সততা এবং ধারাবাহিকতার জন্য তাঁর প্রশংসা করবে।
অপরদিকে ওয়েইসির মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ঘাসফুল শিবির জানিয়েছে যে, পার্টির তাঁর কাছে ধর্মনিরপেক্ষতা প্রমাণ করার দরকার নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলার চেষ্টা করেছেন যে, প্রতিটি সংস্থায় ভালো এবং খারাপ লোক রয়েছে। আমরা শেষ সময়ে বিজেপি ও আরএসএসকে পরাজিত করে কোনও প্রমাণ আর দিতে চাই না। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে একপ্রকার নড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহল। কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী পিটিআইকে জানিয়েছেন, এই প্রথম নয় যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরএসএস-এর প্রশংসা করছেন। প্রয়াত অটল বিহারী বাজপেয়ীর প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র সঙ্গে মিত্রতা স্থাপন করেছিলেন তিনি।
হাত শিবিরের মুখপাত্রের কথায়, আগে তাঁর সম্পর্ক বেশ ভালই ছিল এনডিএ-র সঙ্গে। কংগ্রেস নেতার বক্তব্য, নির্বাচনে ভোট পেতে কখনও হিন্দু মৌলবাদীদের আবার কখনও মুসলমানদেরকে কাজে লাগান দিদি। ফের সেই একই কাজ করছেন তিনি।