মহানগর ডেস্ক: কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার চেষ্টা, না প্রতিপক্ষের অস্ত্রে তাদের ঘায়েল করার কৌশল? ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল নেত্রীর (TMC Chief) স্লোগান “খেলা হবে” (Khela Hobe Slogan) আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল গোটা বঙ্গে। অসম্ভব জনপ্রিয় হয়েছিল স্লোগানটি। এবার পঞ্চায়েত ভোট ও লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূল নেত্রীর সাড়া ফেলা স্লোগানকে পাল্টা অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার পথে হাঁটতে চলেছে বিজেপি (Now Khela Hobe Slogan Used By BJP)। গেরুয়া শিবির জানিয়েছে, দুদলই খেলবে।
তারা অহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে, এ কথা জানিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানান তবে এটার মানে এই নয় যে খেলা হলে তারা তার জবাব দেবে না। বারাকপুরে একটি সভায় বিজেপির রাজ্যসভাপতি জানান, দুদলই খেলবে। এবং খেলাটা ভয়ঙ্কর হবে। ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল কংগ্রেস খেলা হবে স্লোগান তুলে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছিল। এবং ভোটে জিতে ফের বসেছিল কুর্সিতে। তৃণমূল কংগ্রেসের সেই স্লোগান পশ্চিমবঙ্গ ছাড়িয়ে অন্য রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলিও এই স্লোগান ব্যবহার করেছিল। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, তিনি আশ্বাস দিচ্ছেন রাজ্যের সম্পত্তি বিক্রি করা তৃণমূল কংগ্রেস সরকার কয়েকবছর পরেই ক্ষমতাচ্যুত হবে। রাজ্যে অকাল ভোটের ইঙ্গিত দিয়ে তাঁর দাবি ২০২৪ সালে লোকসভা ভোটের সঙ্গে এ রাজ্যে ভোট হলে তিনি মোটেই অবাক হবেন না। ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটে জিতে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেস।
সুকান্ত মজুমদারের দাবি, শ তিনেক তৃণমূল কর্মী ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় জেলে রয়েছে। মামলাগুলি তদন্ত করছে সিবিআই। আরও বেশ কয়েকজনকে জেলে পোরা হবে বলে জানান বিজেপি রাজ্যসভাপতি। তিনি জানান যিনি যত বড় পদেই থাকুন না, কেউ যদি অনিয়ম-দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেন, নরেন্দ্র মোদী যতদিন প্রধানমন্ত্রী রয়েছেন, তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে না। একইসঙ্গে জানান লোকসভা ভোটের আগে পুলিশবাহিনীর নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে একটি বিল লোকসভায় আনা হবে। তাঁর অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ শাসকদলের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট। পুলিশের কাছে তাঁর অনুরোধ তাদের বেতন করদাতাদের টাকা থেকে দেওয়া হচ্ছে, কোনও রাজনৈতিক দল তা দিচ্ছে না, তারা যেন নিরপেক্ষ থাকে।