Offbeat
মহানগর ডেস্কঃ গাছ যে মানুষের চিরতরে বন্ধু তা আমরা ছোট বেলায় পড়েছিলাম। গাছ ছাড়া আমাদের প্রাণ অচল, কারণ গাছ ছাড়া অর্থাৎ অক্সিজেন ছাড়া আমাদের এতবড় মানবসম্প্রদায়ের পক্ষে জীবন কাটানো দুস্কর হয়ে যাবে। কারণ গাছের ঘাটতি বাড়তে থাকলে অক্সিজেনের পরিমাণ কমবে , কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যাবে, এই একটা কথা কিছু মানুষের বুঝতে হয়তো কোথাও সমস্যা হচ্ছে। তাই জন্য যথেচ্ছ পরিমাণে গাছ কেটে সেখানে গড়ে তোলা হচ্ছে কোম্পানি, আবাসন, ফ্লাট।
বিজ্ঞানীরাও কিন্তু গাছকে মানুষের সবচেয়ে উপকারী বন্ধু হিসেবে বর্ণনাও করেছেন। কিন্তু তারপরও মানবসম্প্রদায় এই উপকারের উপযুক্ত মর্যাদা দিতে পারেনি। নিজেদের স্বার্থে বনাঞ্চল কে ধ্বংস এবং গাছ কাটা গোটা পৃথিবীকে বড়ো সঙ্কটের মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে । গাছ কাটার দরুন পরিবেশে এর যথেষ্ট হেরফের পড়েছে। কোথাও বাড়ছে গরম, কোথাও হচ্ছে খরা, আবার কোথাও প্রবল বন্যা। এই পরিস্থিতিতে বিজ্ঞানীরা আরও বেশী পরিবেশ বান্ধব হতে বলছেন । তার জন্য বেশী পরিমাণে বৃক্ষ রোপণ প্রয়োজন বলে মনে করেছেন বিজ্ঞানী মহল।
পরিবেশ সুরক্ষার্থে যত বেশি বৃক্ষ রোপণ করা হবে তত পরিবেশ সুস্থ সবল তাজা থাকবে এবং মানবসম্প্রদায়ের সুবিধে হবে। এই প্রেক্ষিতে পৃথিবীতে কতটা গাছ বা বনাঞ্চল আছে তা জেনে নেওয়া যাক।
ভূবিজ্ঞানীদের মতে, “পৃথিবীর প্রায় ১৯% অনুর্বর ভূমি, ১০% হিমবাহ দ্বারা ঢাকা রয়েছে। এর মধ্যে মরুভূমি,পাথুরে জমি, বালির টিলা, শুকনো লবণের জমি আছে। বিশ্বের মোট ভূপৃষ্ঠের প্রায় ৩৮% জুড়ে রয়েছে বনভূমি। এবার হয়তো মনে প্রশ্ন জাগতে পারে পৃথিবীতে তাহলে গাছের সংখ্যা কত রয়েছে? বিজ্ঞানীদের মতে, বর্তমানে পৃথিবীতে গাছের সংখ্যা প্রায় ৩.০৪ ট্রিলিয়ন।
ওয়ার্ল্ড ফরেস্ট ম্যাপ-এ যদি দেখা যায় তাতে দেখা যাবে সবচেয়ে বেশি যেই দেশে গাছ আছে সেই দেশটি হল- রাশিয়া। বিশ্বের বন মানচিত্রতে পৃথিবীর বিভিন্ন অংশের মোট বনভূমির একটি নকশা এখানে দেখা যায়। রাশিয়ায় প্রায় ৮১৫ মিলিয়ন হেক্টর জমি জুড়ে সেখানে বনাঞ্চল রয়েছে। যেই দেশে যত বড়ো বা বেশি বনাঞ্চল রয়েছে সেই দেশে ততো বেশি গাছ রয়েছে।সেই হিসেবে সবচেয়ে বেশি গাছের দেশ হিসেবে হল রাশিয়া।
বিশ্বের বৃহত্তম অতিবৃষ্টির অরণ্য বা রেইনফরেস্ট কাকে বলে জানেন?দক্ষিণ আমেরিকায় আমাজন রেইনফরেস্ট প্রায় ৯.৮ মিলিয়ন বর্গ কিমি এলাকা জুড়ে অবস্থিত। এটি কিন্তু বিশ্বের মোট রেইনফরেস্টের এক তৃতীয়াংশ দখল করে আছে। এই রেইনফরেস্ট কলম্বিয়া, পেরু এবং ব্রাজিল সহ দক্ষিণ আমেরিকার ৯টি দেশে সমানভাবে বিস্তৃত রয়েছে। গবেষণায় উঠে এসেছে যে, গাছপালা থেকে শুরু করে নানা ধরনের প্রাণী সহ পৃথিবীর জীববৈচিত্র্যের প্রায় ১০% আমাজন রেইনফরেস্টে রয়েছে।
যেখানে যেখানে গাছ বেশি সেখানকার প্রকৃতি থেকে শুরু করে সেখানকার আবহাওয়া এবং পরিবেশ সবকিছু একটু অন্যরকম ভাবে সুন্দর থাকে। সেখানকার পরিবেশও মনোরম থাকে। এমনকি সেখানে সবকিছুইর ভারসাম্য বজায় থাকে। তাই পরিবেশ রক্ষার্থে র নিজেরদের ভবিষ্যৎ এর কথা মাথায় রেখে, বর্তমান দিনে দাঁড়িয়ে গাছ রোপন করা খুবই দরকার।
মহানগর ডেস্ক : অনেকেই আছেন যারা ফিট থাকার চেষ্টা করেন, বা শরীরের বাড়তি ফ্যাট ঝরাতে চায়। বর্তমান ফ্যাশনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অনেকে শরীরচর্চার প্রতি অনেক বেশি মনোনিবেশ করছেন। শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে চান তো? ভাবনার কারণ নেই। রয়েছে সমাধান । ওজন কমানোর জন্য একটি নিয়ম মাফিক খাদ্য তালিকার প্রয়োজন, অর্থাৎ অহেতুক বাইরের তেলে ভাজা, অনলাইন অর্ডার করা মুখরোচ খাবার নয়। কারণ এতে ক্যালোরির পরিমাণ বেশি থাকে, পুষ্টির পরিমাণ কম থাকে। খাবারের মধ্যে ভাত, ডাল, রুটি, সবজি, লেবু, দই রাখুন, এগুলি স্বাস্থ্যকর খাবার, তবে সঠিক অনুপাতে খান, বেশি পরিমাণে একসাথে কোনো খাবার গ্রহণ করবেন না। অতিরিক্ত বাড়তি ফ্যাট ঝড়ানোর জন্য কয়েকটি সহজ উপায় আছে, তা যদি আপনি মেনে চলতে পারেন, তাহলে ইতিবাচক ফল পাবেন।
জেনে নিন কিভাবে ওজন কমাবেন…
১. প্রতিদিন প্রচুর জল পান করুন- প্রতিদিন প্রচুর পরিমানে জল পান করলে, বিশেষ করে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে ও খাবার খাওয়ার আগে জল খেলে দ্রুত ওজন কমানোর উপায় গুলির মধ্যে একটি অন্যতম সহজ উপায় । অনেকেই আছেন যারা জল খেতে চান না বেশি, বা কম পান করেন তারা ডিহাইড্রেশনে ভোগেন । যখন ঘর থেকে বাইরে বেরোবেন সব সময় ব্যাগে একটি জলের বোতল রাখুন, একটু পর পর জল পান করুন, আপনার শরীরের জন্য ভালো । কারণ জল এক থেকে দেড় ঘন্টার মধ্যে 24-30% হজম শক্তি বাড়িয়ে দেওয়ার মত ক্ষমতা রাখে, এর পাশাপাশি শরীরের ক্যালোরি ঝড়াতে সাহায্য করে। আপনি যদি ওজন কমাতে চান তাহলে এই সহজ উপায় টি কাজে করে দেখতে পারেন, ভালো ফল মিলবে।
২. সকালে ঘুম থেকে উঠে লেবু জল পান করুন- প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করুন, সকালে ঘুম থেকে ওঠেই খালি পেটে যেটি করবেন সেটি হচ্ছে হালকা গরম জলে অর্ধেক লেবুর রস আর তাতে ১চামচ মধু মিশিয়ে খেয়ে দেখুন ভালো ফল পাবেন। আপনার বাড়তি ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
৩. খাবার ধীরে ধীরে চিবিয়ে খান – খাওয়ার খাওয়ার সময় ধীরে সুস্থে চিবিয়ে খাবার খান। চিবিয়ে খাওয়া খাবার হজম হতে সাহায্য করে। যার কারণে শরীরে খাবারের গুনাগুন সম্পন্ন হওয়ার পাশাপাশি ফ্যাট কম জমে।
৪. চিনির ব্যবহার বন্ধ করুন- শরবতে চিনি ব্যবহার বন্ধ করুন, যদি না পারেন চিনি কম ব্যবহার করুন। আর যদি চা খাচ্ছেন, সেটি লাল চা হোক বা দুধ চা, বা কোনো ডেজার্ট, চিনি মিশিয়ে খাওয়া বন্ধ করুন।
৫. শাকসবজি, ফল খান- বেশিপরিমানে শাকসবজি ফল খেলে ওজন কমতে সাহায্য করে। কারণ শাকসবজি ও ফলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন খনিজের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুন সম্পন্ন থাকে, যা বাড়তি ফ্যাট বা চর্বি কমাতে সাহায্য করে। ফাইবারগুলি হজম হতে সময় নেয়, তাই একটু বেশি সময় ধরে পেট ভর্তি থাকে।
৬.ডায়েট এর পাশাপাশি খাবারের তালিকায় প্রোটিন রাখুন- ডায়েট করতে গিয়ে দেখবেন যেন প্রোটিনের ঘাটতি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। কার্বোহাইড্রেট এবং ফ্যাট কমালেও প্রোটিন যথাপোযুক্ত গ্রহণ করতে হবে। সবরকমের শাকসবজির পাশাপাশি রাখুন ডাল, মাছ, ডিম, মাংস, সয়াবিন, দুধ, পনির। কারণ এগুলিতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। কিন্তু সঠিক পরিমাণে খান, অতিরিক্ত কোনো খাবার বেশি খাবেন না।
৭. নিজেকে সক্রিয় রাখুন – সারা দিন শুয়ে বসে না থেকে নিজের কাজ গুলো গুছান, ঘর গুছান, নিজের শরীর টাকে একটু হাঁটা চলা করান। শুধু একটি নির্দিষ্ট সময়ে ব্যায়াম করে, অন্যদিকে বাকি সময় পরে পরে ঘুমালে, ওজন কমার বদলে বাড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই বাড়ির সাধারণ কাজ যেমন- নিজের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে এনে, বোতলে জল ভরা, ঘর ঝাঁট দেওয়া, পোঁছা, মশারি টাঙানো, নিজের জন্য বা বাড়ির সবার জন্য চা-কফি খাবার বানান। এরকম ছোটখাটো ঘরের কাজগুলো করার চেষ্টা করুন।
৮. ঘুমনোর নির্দিষ্ট সময় বাঁধুন- যথাযথ পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম, বাড়তি ওজন কমানোর জন্য দ্রুত উপায়গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম ৷ একজন মানুষের সারা দিনে ৬-৮ ঘন্টা গভীর ঘুমের প্রয়োজন, শরীরের ক্লান্তি দূর করার জন্য। এর বেশি ঘুম শরীরের জন্য ভালো না, আবার এর থেকে কম ঘুমও, কারোর শরীরের জন্য ভালো না । তাই দ্রুত ওজন কমাতে চাইলে মহিলাদের অবশ্যই ভালো ডায়েট এবং ব্যায়ামের পাশাপাশি ঘুমের সময়সীমা বাঁধুন।
৯.ব্ল্যাক কফি পান করুন- ব্ল্যাক কফিতে আছে বাড়তি ওজন কম করার মতো অন্যতম সক্রিয় উপাদান। হজমশক্তি 50% পর্যন্ত বাড়িয়ে পেটের বা শরীরের বাড়তি চর্বি কমায়।
১০. উপবাস করুন- সপ্তায় একদিন উপবাস করুন। বা মাসে অন্তত ২বার উপবাস দেওয়ার চেষ্টা করুন। মানে দিনের কোনো একটা সময়ের খাবার টি বাধ দিন। বা ফলের জুস হালকা পানীয় জাতীয় খাবার খান।গবেষণা অনুসারে দেখা গেছে যারা বিরতিহীন উপবাসের চেষ্টা করেছেন তারা ওজন কমাতে সফল হয়েছেন।
১১. ব্যায়াম করুন- জায়েটের পাশাপাশি আপনাকে ব্যায়াম করতে হবে। রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে হাঁটুন, এটি স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। ব্যায়াম, সাতার প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি ধরাতে সাহায্য করে।
১২. ফাইবার বা আশযুক্ত খাবারের পরিমাণ বাড়ান- ফাইবার বা আশযুক্ত খাবার জল এবং তেল শোষন করার মতো ক্ষমতা রাখে। হজম করতে সাহায্য করে । অতিরিক্ত মোটা হওয়া কমাতে পারে ।
এর পাশাপাশি খাবার খাওয়ার অভ্যাসে আপনাকে কিছু পরিবর্তন করতে হবে। যদি আপনি ওজন কমাতে চান, নিচের খাদ্যাভ্যাস গুলো অনুকরণ করুন।
• খিদে না পেলে অযথা খাবার খাবেন না।
• জাঙ্ক ফুড ত্যাগ করতে হবে
• সবসময় ডেজার্ট খাওয়া যাবে না
• দাঁড়িয়ে থেকে খাওয়ার অভ্যাস বাদ দিতে হবে
• পেটের ১ তৃতীয়াংশ খালি রেখে খেতে হবে।
• উচ্চ-ক্যালোরি যুক্ত পানীয় দ্রব্য
• চিনি যুক্ত খাবার ত্যাগ করুন
• ক্যান্ডি বার
• কুকিজ, চিপস, চকোলেট, কেক খাওয়া থেকে বিরত থাকুন
• ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, হ্যামবার্গার, চিজ যুক্ত খাবার ত্যাগ করুন
• অ্যালকোহল জাতীয় দ্রব্য খাবেন না
• মিষ্টি দই খাবেন না
• সাদা ভাত খেলে তা অল্প পরিমাণে খান
মহানগর ডেস্কঃ ত্বক নিয়ে অনেকেই দুশ্চিন্তায় ভোগেন। ছেলে মেয়ে উভয়ই ত্বকের উজ্জ্বলতা নিয়ে একটু বেশি চিন্তিত। কিন্তু ত্বক নিস্তেজ হওয়ার মূল কারণ জানেন? অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার অভ্যাস হলো এর কারণ। যেমন ধরুন ভুল ডায়েট করছেন, সঠিক ভাবে ত্বকের যত্নের অভাব, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব, অতিরিক্ত পরিমাণে মদ্যপান, রোদে ঘুরে বেড়ানোর পাশাপাশি আরও অনেক কারণ রয়েছে। এই সমস্ত কারণগুলি ত্বকের উপর খারাপ প্রভাব সৃষ্টি করে।
তবে চিন্তার কারণ নেই, সবকিছুর সমাধান রয়েছে। কিছু উপায় আছে যার মাধ্যমে আপনার ত্বক সেই উজ্জ্বলতা ফিরে পেতে পারে। তাড়াতাড়ি উজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার কৌশল হল ঘুমোতে যাওয়ার আগে কিছু কাজ করতে হবে। তাছাড়া কিছু খাবার আছে, যা সেবন করার দরুন আপনি ইতিবাচক ফল পেতে পারেন। যেমন- পাতিলেবু, কমলা লেবু, মোসাম্বি, জাম্বুরা, মাল্টা এগুলো ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। কারণ এগুলিতে প্রয়োজনীয় ভিটামিনস থাকে, ভিটামিন সি, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা স্কিনকে হাইড্রেটেট রাখতে সহায়তা করে এবং প্রাকৃতিক ভাবে স্কিনটোন ব্রাইট করতে সাহায্য করে।
গোলাপ জল- গোলাপ জল সৌন্দর্য বজায় রাখতে বা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। এটি একটি সহজলভ্য প্রক্রিয়া। তৈলাক্ত জাত ত্বক, শুষ্ক বা সংমিশ্রণ যাই ধরনের ত্বক হোক না কেন, সৌন্দর্য বাড়িতে তুলে সাহায্য করে, ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে গোলাপ জল ব্যবহার করতে পারেন।
এক টুকরো তুলো নিন, সেটাকে গোলাপ জলে ডুবিয়ে সারা মুখে আলতো করে লাগান। এবার সারা সারা রাত রেখে দিন, পরের দিন সকালে উঠে ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এটি ব্যবহার করার ফলে আপনার ত্বকে দুর্দান্ত উজ্জ্বলতা বাড়বে, এর পাশাপাশি ত্বককে সতেজ, নরম এবং মসৃণ রাখতে সহায়তা করবে।
দুধ- দুধ ত্বকের জন্য একটি দুর্দান্ত উপাদান হিসেবে কাজ করে। প্রতিদিন ঘুমানোর আগে মুখে দুধ লাগান। এছাড়াও নিয়মিত প্রতিদিন দুধ খেলে আপনার ত্বক স্বাভাবিকভাবে উজ্জ্বল হবে।
একটি বাটিতে অল্প কাঁচা দুধ নিন, তাতে এক টুকরো তুলো চুবোন, তারপর আপনার ত্বকে আলতো করে মাখুন। সারারাত মুখে লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন, তারপর সকালে উঠে ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ত্বকে থাকা কালো দাগ দূর হতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি ত্বক উজ্জ্বল করতেও সহায়তা করে।
বাদাম তেল- বাদাম তেল ত্বকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিক হিসেবে কাজ করে।
মুখ পরিষ্কার করে, বাদামের তেল লাগাতে হবে। তেল লাগানোর পর আঙুল দিয়ে আলতো ভাবে ম্যাসাজ করুন এবং এটি সারা রাত আপনার ত্বকে শুষে নিতে দিন।পরের দিন সকালে, ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। বাদাম তেল দিয়ে আপনার ত্বকে ম্যাসাজ করলে, ত্বকে রক্ত সঞ্চালন হয় এবং ত্বক সতেজ দেখায়।
অ্যালোভেরা জেল- অ্যালোভেরা জেল ত্বকের ক্ষেত্রে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে। এটির ব্যবহারে ত্বক তাজা ও উজ্জ্বল ত্বক পাবেন। ইতিবাচক ফল পেতে সারা মুখে অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিন। সকালে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।চমৎকার ফল পাবেন।
নারকেল তেল- উজ্জ্বল ত্বক পেতে, মুখে নারকেল তেল লাগাতে পারেন। এটিকে ময়েশ্চারাইজার হিসাবেও ব্যবহার করতে পারেন। ত্বককে হাইড্রেট করতে সাহায্য করে। কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল হাতে নিন, তারপর মুখে লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন। নারকেল তেলের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা, আপনার ত্বকের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে এবং আপনার ত্বককে উজ্জ্বল করতে সহায়তা করবে।
মধু- মধুর মধ্যে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল রয়েছে, যা ত্বকের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। মধু আপনার ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
ত্বকের মেরামত ও ক্ষতি প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। সব থেকে বেশি ফলদায়ক হবে যদি মধু এবং মুলতানি মাটির একটি প্যাক মিশ্রণ করে মুখে লাগান, ১৫ মিনিট রাখতে হবে । প্যাকটি শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
মহানগর ডেস্কঃ বিলাসবহুল জাহাজ বলতেই যার নাম সবার আগে মাথায় আসে তা হল টাইটানিক। বিলাসবহুল স্বপ্ননগরী যা সমুদ্রের ওপর এক স্বপ্নরাজ্য নিয়ে নেমেছিল। যাকে ঘিরে ছিল বহু চর্চা, বহু আলোচনা। একটা আস্ত সিনেমা তৈরি হয়েছিল যার কাহিনী নিয়েই। তবে এবার সেই স্বপ্নের টাইটানিককে টেক্কা দিতে সমুদ্রে গা ভাসাতে চলেছে টাইটানিকের বাপ! এবার সমুদ্রে নামতে চলেছে ‘আইকন অফ দ্য সিস’(icon of the seas),যার কাছে টাইটানিক কার্যত শিশু।
যানা যাচ্ছে এই প্রমোত্তরিটি টাইটানিক জাহাজের থেকেও প্রায় ৫ গুন বড়ো। সমদ্র জলরাশির মধ্যে ভাসতে চলেছে আস্ত এক মহানগরী। আসুন জেনে নেওয়া যাক কি কি আছে এই বিলাসবহুল স্বপ্নপূরীতে। জানা যাচ্ছে, এই বিলাসবহুল জাহাজে আছে ৭ টি সুইমিংপুল। রয়েছে ৬ খানা ওয়াটার স্লাইড। আছে ৪০ টি রেস্তোরা। ৫০ জনের বেশি রয়েছে সঙ্গীত শিল্পী, সঙ্গে থাকবে ১৬টি অর্কেস্ট্রা। অর্থাৎ এই মায়াপুরী জাহাজে ভ্রমণ করা কালীন যাত্রীর সমস্ত রকম মনরঞ্জনের দিকেও খেয়াল রাখবে এই জাহাজের পরষেবা। বহু চর্চিত টাইটানিকের সঙ্গে বেশ কিছু বিস্তর ফারাক রয়েছে এই প্রমোত্তরিটির। টাইটানিকের দৈর্ঘ ছিল ৮৮২ ফুট, সেখানে এই ‘আইকন অফ দ্য সিস’- এর দৈর্ঘতা ১১৯৮ ফুট। টাইটানিকের বহর ছিল, ৪৬,৩২৮ জিটি, অপরদিকে ‘আইকন অফ দ্য সিস’ এর বহর ২,৪০,৮০০ জিটি। টাইটানিকে মোট ২,৪৩৫ যাত্রী একসঙ্গে ভ্রমণ করতে পারত, তবে এই নতুন জাহাজে একসঙ্গে ৭,৬০০ যাত্রী ভ্রমণ করতে পারবে। ৮৯২ জন কর্মী কাজ করতে পারত টাইটানিকে তবে এই নতুন জাহাজে ২,৩৫০ কর্মী কাজ করতে পারবে।
এবার আসুন জেনে নেওয়া যাক কি কি রয়েছে এই জাহাজে। রয়েছে ৪০ টির বেশি রেস্তোরা ও পানশালা, ৭ খানা সুইমিংপুল, ৬ টা অয়াতারস্লাইড, রয়েছে সিনেমা হল। সমুদ্রের বুকে বরফে স্কি করার অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন এই জাহাজে। প্রাকৃতিক গ্যাসের দ্বারা চলবে এই জাহাজ। যাত্রী যেখানে থাকবেন তার প্রায় প্রত্যেক কক্ষ থেকেই সমুদ্র দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন যাত্রীরা। জানা যাচ্ছে জাহাজটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে প্রায় দুশো কোটি ডলার। প্রায় ৯০০ দিনের পরিশ্রমে ফিনল্যান্ডের একটি কারখানায় নির্মিত হয়েছে এই জাহাজটি। তবে জানেন কি কত টাকা খরচ করলে তবে চরা যাবে এই জাহাজে? বলা হচ্ছে ভারতীয় মুদ্রার প্রায় দেড় লক্ষ থেকে বারো লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে মাথা পিছু। যখন বিশ্ব এই নতুন জাহাজ নিয়ে উত্তেজিত, তখনিই কিন্তু অপরদিকে এই জাহাজ নিয়ে শুরু হয়েছে পরিবেশবিদদের মধ্যে বিতর্ক। তবে আপনি বিতর্কে তোয়াক্কা না করে চাইলেই একবার চলে যেতে পারেন এই স্বপ্নপুরীতে, জলরাশির মাঝখানে।
মহানগর ডেস্ক: ইংল্যান্ড ও রাশিয়ার বুকে ঘটে গেছে এই দুই ঘটনা! তাহলে কি বাকি সব ভবিষ্যদ্বাণীও এবার ফলে যাবে? ২০২৪-কে নিয়ে ঠিক কি কি বলেছিলেন বুলগেরিয়ার এই অন্ধ মহিলা? দেখুন।
ভবিষ্যৎ হল সময়ের আগামী পর্যায়। সেই কারণে সবথেকে রহস্যময় হল এই ভবিষ্যৎ। আর এই ভবিষ্যৎ বিচার করে নানা অনুমানকে বলা হয় ভবিষ্যদ্বাণী। বর্তমান সময়ে ভবিষ্যৎ নিয়ে বলতে পারেন এমন একজন মানুষ হলেন বাবা ভাঙ্গা। বাবা ভাঙ্গাকে বর্তমান সময়ের নস্ত্রাদামুস বলে মনে করা হয়। নিজের জীবনকালে তিনি ভবিষ্যৎ সম্পর্কে নানা কথা বলে গিয়েছিলেন। তার অনেকগুলিই সত্যি প্রমাণিত হয়েছে। বুলগেরিয়ার এক নারী তিনি। মনে করা হয়, তিনি ভবিষ্যৎ দেখতে পেতেন।
চলতি বছর, এই ২০২৪ সাল নিয়েও নানা ভবিষ্যৎ-বাণী ছড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। তার মধ্যে ইতিমধ্যেই কিছু বাণী সত্যি হয়েছে। এগুলি হল জাপান এবং যুক্তরাজ্যের মতো অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত দেশগুলি এবং রাশিয়ার ভ্যাকসিনের বিকাশ। বাবা ভাঙ্গা কথিতভাবে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে ২০২৪ সালে একটি বিশাল অর্থনৈতিক সংকট হবে, যা বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে। উল্লেখযোগ্যভাবে, উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি এবং জীবনযাত্রার ব্যয়-সংকটের কারণে গত বছরের শেষের দিকে যুক্তরাজ্য মন্দার মধ্যে ডুবে যায়। এছাড়াও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন সম্প্রতি বলেছেন যে, রুশ বিজ্ঞানীরা ক্যানসারের ভ্যাকসিন তৈরি করার প্রায় কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছেন।
এছাড়াও ২০২৪ সালকে নিয়ে বাবা ভাঙ্গা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে এই বছর ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ হবে। এই রহস্যময়ী ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে সাইবার ক্রাইম বৃদ্ধি পাবে। উন্নত হ্যাকাররা পাওয়ার গ্রিড এবং ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোকে টার্গেট করবে, যা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। তবে সবটাই বলবে ভবিষ্যৎ।
বর্তমানে গণমাধ্যমের তাড়নজাত ধ্বনির বাহুল্য ও বিদেশি এবং হিন্দি শব্দের অহেতুক ব্যবহার দেখা যাচ্ছে। এটি যে ভাষাদূষণ, ভাষা বিকৃতি এবং ভাষার জগাখিচুড়ি প্রয়োগ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিকৃত ও অশুদ্ধ উচ্চারণের কারণে তরুণরা ভাষার বিষয়ে বিভ্রান্ত হচ্ছে। এটি শুধু বাংলা নয়, অন্য যে ভাষার শব্দ যোগ করে অভিনব মিশ্রণ তৈরি করা হচ্ছে সে ভাষারও অমর্যাদা করা হচ্ছে। আবার বর্তমান তরুণ প্রজন্ম এসব পছন্দ করছে। কারণ তারা যুগের স্রোতে ভেসে আসা যে কোনো বিচার-বিবেচনা ছাড়াই, দ্রুত রপ্ত করে সেটার প্রয়োগ করাকে আধুনিকতা ভাবে। তাই এই গণমাধ্যমগুলোর প্রচার করা বিকৃত শব্দগুচ্ছ ব্যবহারের মাধ্যমে তারা নিজেদের তথাকথিত স্মার্ট এবং আধুনিক ভাবতে শুরু করেছে। এতে আমাদের ভাষা হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। পৃথিবীর অনেক ভাষা আজ বিলুপ্ত কিংবা বিলুপ্তির পথে। জাতিসংঘের মতে, ‘প্রতি দুই সপ্তাহে পৃথিবী থেকে একটি করে ভাষা হারিয়ে যাচ্ছে।’
বর্তমান প্রজন্মের বাংলা ভাষা সম্বন্ধে জ্ঞান নেই।দোষ অবশ্যই তাদের অভিভাবকদের কারণ তারা ছদ্ম গর্ববোধে বলেন,যে তাদের সন্তানদের বাংলাটা ঠিক আসেনা, আবার কেউ কেউ বলেন বাংলা শিখে কি হবে ইত্যাদি।আসলে তারা ভুলে যান কিংবা জানেন না যে বাংলা ভাষা হচ্ছে সর্বোৎকৃষ্ট বৈজ্ঞানিক ভাষা,যার বর্ণমালার রন্ধ্রে রন্ধ্রে সেই ছোঁয়া আছে। যাক্ এইসব অভিভাবকদের দৌলতে সেইসব সন্তানরা বাংলা বলতে শুরু করে সে এক অভিনব বাংলার উপস্থাপন। সম্প্রতি একটি মেয়ে তার বাবার সাথে আমার পরিচয় করাচ্ছে,”ইনি আমার বাবা হচ্ছেন”।প্রত্যুত্তরে বলি,আগে হোক তারপর বলো।বাংলায় এক ধরনের শব্দ প্রচলন হয়েছে “কেন কি”,বলার অপেক্ষা রাখেনা হিন্দির কিউ কি শব্দের সংস্করণ। এরকম বহু উদাহরণ দেওয়া যায়। কিন্তু তথাকথিত শিক্ষিত সমাজের মুখে কালি লিপ্ত করেছেন সালকিয়া বাঁধাঘাটের বাপি দাস।পেশায় রিক্সাচালক। কিন্তু বাংলা ভাষা দরদী। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর যেহেতু বাঁধাঘাট পেরিয়ে কলকাতা যাত্রা করেছিলেন,সেই স্মৃতিতে সেখানে ওঁনার মূর্তি আছে।বাপি দাস প্রতিদিন নিজ উদ্যোগে পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি পরিষ্কার করেন এবং মালা দেন।
এরা তথাকথিত সমাজের এমন শ্রেণীতে রয়েছেন যেখানে উচ্চবিত্ত ও উচ্চশিক্ষিত লোকেরা অবজ্ঞা করে,ছোট করে এমনকি “তুই” বলে সম্বোধন করে। হায় রে শিক্ষিত! ধিক্ এমন শিক্ষার।
কলমে : সৌরভ সিংহ
সাংবাদিক (সম্পাদক, হাওড়া প্রেস ক্লাব) ও সাহিত্যিক
মহানগর ডেস্ক: ২০২৪ সালেই ঘটতে চলেছে এক বিরল ঘটনা।আসন্ন এক পূর্ণিমায় বদলে যাবে চাঁদের রূপ!পূর্ণিমার চাঁদ হয়ে উঠবে স্ট্রবেরি মুন। সারা বছরই চাঁদের বিভিন্ন সব রূপ দেখতে আগ্রহী থাকে পৃথিবীবাসী। এক এক মাসে চাঁদের এক এক নাম রয়েছে। যেমন- জানুয়ারি মাসে উলফ মুন, ফেব্রুয়ারিতে স্লো মুন, মার্চ মাসে ওর্ম মুন, এপ্রিলে পিংক মুন, আবার সেপ্টেম্বরে হারভেস্ট মুন, অক্টোবরে হান্টারস মুন, নভেম্বরে বিভার মুন, ডিসেম্বরে কোল্ড মুন। এছাড়াও সুপার মুন, ব্লাড মুন, ব্লু মুন, এই সকল নামেও ডাকা হয় চাঁদকে। আর এবছর, অর্থাৎ ২০২৪ সালে জ্যোতির্বিদ্যায় আগ্রহীদের জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে। কারণ কারণ এ বছর যেমন আকাশে উল্কাপাত, সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে, তেমনই দেখা যাবে চাঁদের এক বিরল রূপের, যার নাম স্ট্রবেরি মুন।
সাধারণত জুন মাসে পূর্ণিমার চাঁদকে স্ট্রবেরি মুন বলা হয়। আর এবছর আগামী ২১ শে জুন, এই ‘স্ট্রবেরি মুন’ দেখা যাবে। গ্রীষ্মের এই দিনেই প্রথম ‘ফুল মুন’ বা পূর্ণিমা হবে। আর এই দিনই পূর্ণ আকার-আয়তনে পৌঁছবে চাঁদ। তবে এবারের ফুল মুনকে কিন্তু সুপারমুন বলা হবে না। যদিও সাধারণ দিনে চাঁদের যে আয়তন থাকে, ২১ জুন তার থেকে কিছুটা বড়ই লাগবে চাঁদকে। বসন্তের শেষ ফুল মুন কিংবা পূর্ণিমা এবং সামার সিজনের প্রথম পূর্ণিমায় এই ‘স্ট্রবেরি মুন’ দেখা যায়।
তবে জানেন কি, কেন এই চাঁদের নাম ‘স্ট্রবেরি মুন’? এই স্ট্রবেরি মুন প্রথম আবিষ্কার করেছিলেন প্রাচীন আমেরিকান উপজাতির মানুষরা। স্ট্রবেরি চাষের মরশুমের শুরুতে প্রথমবার এই চাঁদ দেখেছিলেন আমেরিকার ওই প্রাচীন উপজাতির মানুষরা।তার পর থেকেই এই চাঁদকে বলা হয় স্ট্রবেরি মুন। অন্যান্য অনেক দেশে জুন মাসের এই ফুল মুনের বিভিন্ন নাম রয়েছে। যেমন- ইউরোপে এই চাঁদকে বলা হয় রোস মুন। কারণ এই সময় থেকে ইউরোপে গোলাপের চাষ শুরু হয়। অন্যদিকে উত্তর গোলার্ধে এই চাঁদের নাম ‘হট মুন’। কারণ এই সময় থেকে গরম কাল শুরু হয় উত্তর গোলার্ধে। তাই এই বিরল দৃশ্য দেখতে ভুলবেন না যেন।
মহানগর ডেস্ক : বাড়িতে সৌরবিদ্যুৎকে কাজে লাগানোর পদ্ধতিটি উদ্যোগ ব্যাপাক সাড়া ফেলেছে। মোদী সরকারের বিকল্প শক্তির উৎসগুলি জন্য বিশ্বব্যাপী চাপের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এর পাশাপাশি, আইআইটি( IIT )পালাক্কাডের গবেষকদের দ্বারা একটি চুল্লি তৈরি যুগান্তকারী কাজ। যা প্রস্রাবকে বিদ্যুৎ এবং জৈব সার উভয়েই রূপান্তরিত করে। এই উদ্ভাবনী প্রযুক্তি শুধুমাত্র ক্রমবর্ধমান শক্তির চাহিদা পূরণ করে না বরং এমন একটি সম্পদ ব্যবহার করে পরিবেশ সংরক্ষণে অবদান রাখে যা অন্যথায় নষ্ট হয়ে যাবে।
নাইট্রোজেন, ফসফরাস এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো উদ্ভিদের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিসমৃদ্ধ জৈব সার তৈরি করা হচ্ছে। একটি ইলেক্ট্রোকেমিক্যাল প্রক্রিয়া ব্যবহার করে হয়েছে।সেখানে প্রস্রাব থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনের জন্য একটি অভিনব পদ্ধতির সামনে আনে। প্রযুক্তির বহুমুখিতা এটিকে শ হুরে এবং গ্রামীণ উভয় এলাকার জন্য উপযুক্ত করে তোলে। শক্তি এবং সারের প্রয়োজনের জন্য একটি টেকসই সমাধান প্রদান করে।
বর্তমানে মোবাইল ফোন এবং এলইডি লাইট চার্জ করার জন্য ব্যবহৃত হলেও,গবেষকরা থিয়েটার এবং শপিং মলের মতো বৃহত্তর সেটিংসে এর প্রয়োগের প্রত্যাশা করছেন। এটি প্রযুক্তির মাপযোগ্যতা এবং ভবিষ্যতে উল্লেখযোগ্য বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে এর সম্ভাব্যতা প্রদর্শন করে। একটি স্বনামধন্য জার্নালে গবেষণা দলের প্রকাশনা এবং ভারত সরকারের কাছ থেকে প্রকল্পের অর্থায়ন এই উদ্ভাবনী সমাধানের বৈজ্ঞানিক কঠোরতা এবং সম্ভাব্য প্রভাবের উপর জোর দেয়।