মহানগর ডেস্ক:এমএ পাঠক্রমের আরবি ভাষার প্রথম বর্ষের ক্লাস হচ্ছিল পুরোদমে। ক্লাস যখন মাঝপথে তখনই ক্লাসে ঢুকে বসতে গিয়েছিল ছাত্রীটি। কিন্তু ক্লাস চলাকালীন দেরিতে আসার জন্য ক্লাসে ঢুকতে দেননি অধ্যাপক। তারপরই অদ্ভুত কাণ্ড করে বসল ছাত্রীটি। মোবাইল নিয়ে পুলিশকে ফোন করে বসল সে (Student Complained Police For Not Entering Class)। আর তা নিয়ে রীতিমতো হইচই শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। মায় কয়েক আগে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নিচ্ছিলেন অধ্যাপক আসলাম ইসলাহি। পড়ানোর মাঝপথে ওই ছাত্রীটি ক্লাসে ঢুকতে চায়। তাকে ঢুকতে না দেওয়ায় শুরু হয় বিপত্তি। পুলিশকে ফোন করায় গোটা বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোড়ন দেখা দেয়।
অধ্যাপক জানান অন্য পড়ুয়াদের সঙ্গেও তিনি যা করেন, তিনি তাই করেছেন। ছাত্রটিকে ক্লাসে ঢুকতে বাধা দেওয়ায় অধ্যাপকের সঙ্গে তর্ক শুরু করে দেয় সে। তারপরই পুলিশকে ফোন করে জানায় অধ্যাপক তাকে হেনস্থা করেছেন। পুলিশের কাছে ছাত্রীটি জানায় ওই অধ্যাপক বরাবরই তার প্রতি পক্ষপাতমূলক ব্যবহার করেন। কারণ সে অন্য জাতের। আর এই কারণেই এমন আচরণ করে থাকেন বলে পুলিশকে সে জানায়। এ কারণেই দুজনের মধ্যে উত্তপ্ত বাদানুবাদ হয়।
দুজনের মধ্যে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে অন্য ক্লাসের অধ্যাপক ও পড়ুয়ারা সেখানে ছুটে আসে। তবে ছাত্রীটি ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে কোনও লিখিত অভিযোগ না জানানোয় পুলিশ হস্তক্ষেপ করতে চায়নি। এই ঘটনার পর ওই পড়ুয়া সেখান থেকে চলে যায় এবং সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতেও সে রাজি হয়নি। আরবি বিভাগের অধ্যাপকেরা অবশ্য ছাত্রীটির বিরুদ্ধে প্রোক্টরের অফিসে লিখিত অভিযোগ জানান।
অভিযোগপত্রে তাঁরা জানান অভিযুক্ত ছাত্রীর আচরণ ফ্যাকাল্টি সদস্যদের সমস্যায় ফেলছে। অধ্যাপক ইসলাহি জানান তাঁরা আশা করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন কিছু ব্যবস্থা নেবে। আরেক অধ্যাপক জানান ওই ছাত্রীটি অধ্যাপক ও বিদ্যালয়ের কর্মীদের সঙ্গে অত্যন্ত অসম্মান জানিয়ে কথা বলে থাকে। এবং আরবি বিভাগের সমস্ত কিছু ব্যাপারে ভুল ধরে থাকে। এমনকী অধ্যাপকরা ক্লাসে কয়েক মিনিট দেরি করে এলে তাঁদের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেয়। প্রোক্টর রাকেশ দ্বিবেদি জানান ঘটনাটি কুবই স্পর্শকাতর এবং ছাত্রীটির কাউন্সেলিং প্রয়োজন। তাঁরা মনস্তত্ত্ববিভাগকে ছাত্রীটিকে সাহায্য করার অনুরোধ জানাবেন।