মহানগর ডেস্ক: কোটিপতি কিংবা বিলিনিয়োর। তাঁদের পরিচয় ঐশ্বর্যের মালিক হিসেবে। ঐশ্বর্য যেন চোখ ঠিকরে দেয়। আকাশছোঁয়া বাড়ি,গাড়ি থেকে প্রতিপদেই তাঁদের সম্পদের আতিশয্য। অনেকরই পা পড়ে না মাটিতে। সত্যি বলতে কি এমন কল্পনা আমাদের মনে আসাটা অস্বাভাবিক নয়। লাস ভেগাসে থাকেন কোটিপতি অ্যামি এলিজাবেথ (Cheapest Millionaire)।
টিভিতে নানা অনুষ্ঠান করে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছেন এবং পরে তিনি বেস্ট সেলার লেখিকা হন। আর তাঁর জীবনটাও উপন্যাসের মতো চমক জাগানো। একসময় মাথার ওপর ছাদ ছিল না তাঁর। পরে কোটি কোটি ডলারের মালিক। অগাধ টাকার মালকিন হলেও তাঁকে পৃথিবীর কঞ্জুষতম কোটিপতি বলা হয়। অর্থাৎ লেখকের জীবন কোনও অংশে কম নয়। এলিজাবেথ তিলতিল করে টাকা জমিয়েছেন। এমনভাবেই টাকা জমাতে ভালোবাসেন তিনি। তাই মানুষের খাবারের বদলে বেড়ালদের ক্যানড খাবার তিনি পছন্দ করেন। কারণ পোষা বেড়ালদের খাবারের দাম খুবই কম।
যখন তাঁর বন্ধুরা বাড়িতে আসেন, তখন বেড়ালদের কেনা খাবার দিয়ে স্যান্ডউইচ বানান তিনি। কিন্তু তাঁর কত টাকা সেটা জানলে চমকে যেতেই পারেন। টাকার পরিমাণ ৫.৩ মিলিয়ন ডলার। এ বছরের জানুয়ারি মাসে ব্রিটেনের একটি সংবাদপত্রে এ নিয়ে একটি খবরও বেরিয়েছিল। কিন্তু অগাধ টাকা থাকলেও সেই টাকা হুড়মুড় করে খরচ করতে রাজি নন। মাসে খরচ এক হাজার ডলারের বাজেট। প্রতি বছর নতুন কিছু না করে এলিজাবেথ বাঁচান দু লক্ষ ডলার।
থাকেন ছোটখাটো একটি বাড়িতে, যেটি তিনি ডিভোর্সের পর স্বামীর কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে পেয়েছেন। টাকা বাঁচাতে ওয়াটার হিটার বন্ধ করে রাখেন। জল গরম করতে মোটামুটি বাইশ মিনিট লাগে। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর হিটার বন্ধ করে দেন তিনি। তিনি জানেন ঠিক কতটা সময় জল গরম করতে লাগে।