মহানগর ডেস্ক: সিঙ্গাপুরে বন্ধুদের নিয়ে রেস্তোরাঁয় ডিনার খেতে গিয়েছিলেন জাপানের মহিলা পর্যটক (Crab Dish Bill For Woman Japan Tourist)। রেস্তোরাঁয় অর্ডার দিয়েছিলেন কাঁকড়ার ডিস। দাম যে খুব একটা আহামরি হবে না, সেটা ভেবেই বন্ধুদের সঙ্গে সোৎসাহে খাচ্ছিলেন সুস্বাদু কাঁকড়া। খাওয়ার পর বয় এসে বিল ধরাতেই রীতিমতো হৃদকম্প শুরু হয়ে যায় তাঁর। কাঁকড়ার ডিসের দাম ধরা হয়েছে ছশো আশি মার্কিন ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় ছাপ্পান্ন হাজার পাঁচশো তিন টাকা।
বিল দেখার পর শুধু হৃদকম্পই নয়, রীতিমতো চোখ ছানাবড়া হয়ে যায় তাঁর। তারপর যেটা করলেন সেটাও কিন্তু কম অবাক হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনাও । রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষকে দিয়ে পুলিশকে ডেকে বসলেন তিনি। জানালেন, তাঁকে খাবারের ডিসের দাম কত, সেটা ঠিকমতো জানানো হয়নি। সিঙ্গাপুরের সংবাদপত্র এশিয়া ওয়ান জানিয়েছে জুনকো শিমবা তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে সিফুড প্যারাডাইস রেস্টুরেন্টে খাওয়াদাওয়া করছিলেন। সেসময় তিনি জানতে পারলেন যে চিলি ক্র্যাব ডিসের অর্ডার দিয়েছেন,তার দাম ৬৮০ মার্কিন ডলার।
শিনবো জানান রেস্তোরাঁর এক ওয়েটার তাঁকে আলাস্কান কিং চিলি ক্র্যাবের সুপারিশ করায়, তিনি অর্ডার দেন। ওয়েটার অবশ্য জানিয়েছিল ডিসের দাম কুড়ি ডলার। তবে জানিয়েছিল একশো গ্রাম কাঁকড়ার দাম কুড়ি ডলার। মোট কত দাম, তা নিয়ে কোনও কথাই বলেনি শিমবোর সঙ্গে। তবে ওই কাঁকড়ার ডিস রেস্তোরাঁর খুব নামকরা ডিস। তাঁর দাবি, কাঁকড়ার মোট তাঁকে জানানো হয়নি। চারজনের ডিনারের খরচ কত, তা জানার পরে জাপানের ওই মহিলা একেবারে বাকরুদ্ধ হয়ে যান।
তাঁকে একবারের জন্যও জানানো হয়নি যে দামটা বলা হয়েছিল,সেটা এক টুকরো কাঁকড়ার দাম। চোখ কপালে তোলা বিলের অঙ্ক দেখে শিমবো সি ফুড প্যারাডাইস রেস্টুরেন্টের লোকজনদের পুলিশে ফোন করতে। পরে রেস্তোরাঁয় আসেন পুলিশের অফিসাররা। রেস্তোরাঁর কর্মীরা জানান তাঁরা মোটেই বিশাল কিছু বিল করেননি। প্রমাণ হিসেবে এক ক্রেতার বিল দেখান তাঁরা। সেই বিলে এক প্লেট কাঁকড়ার দাম একই অঙ্কের রয়েছে। ওই মহিলা পর্যটকের সঙ্গে আলোচনার পর দাম আটাত্তর ডলার করা হয়। তবে রেস্তোরাঁর প্রতিনিধিরা জানান তাঁরা ওয়েটারকে সমর্থন করছেন। সে ঠিকমতো দাম জানিয়েছিল। তার কোনও ভুলচুক হয়নি। ঘটনাটি সিঙ্গাপুর টুরিজম বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি জানান ওই জাপানি মহিলা পর্যটক।