মহানগর ডেস্ক: ভিডিওটি দেখে সবারই চোখ কপালে উঠতে বাধ্য। কিছুদিন আগে ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় দেখা গিয়েছে কেদারনাথ মন্দিরে পাহাড় বেয়ে ওঠার আগে জোর করে গাঁজা খাওয়ানো হচ্ছে ঘোড়াদের, (Horses Are Forcefully Inhale Weed Smoke) যাতে নেশার ঘোরে পাহাড়ে ওঠায় বাড়তি শক্তি পায়। কেদারনাথের মন্দিরে যাওয়ার পথে পশুদের প্রতি এমন নির্দয় আচরণে কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না, এমন মন্তব্য করে সমালোচনার ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ভিডিওটি অনলাইনে শেয়ার করার পরই তা পুলিশের নজরে আসে। ভিডিওটি ঘিরে রীতিমতো ভুরু কুঁচকে উঠেছে বহু মানুষের। পর্যটক ও তীর্থযাত্রীরা যদি মাদকাসক্ত ঘোড়ায় সওয়ার হন নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে বাধ্য। সেইসঙ্গে গাঁজা খাইয়ে ঘোড়াদের পাহাড়ি পথে যাতায়াতে তাদেরও স্বাস্থ্যের ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছেন পশুপ্রমীরা।
ভিডিওয় দেখা গিয়েছে গাঁজা ধোয়া তাদের নাকের সামনে দেওয়ার পর ঘোড়া দুটি মুখ সরিয়ে নিচ্ছে। তাতেও দমেনি ঘোড়ার মালিকেরা। গাঁজার ধোয়া শোকাতে তারা জোর করে ঘোড়ার নাকের ছিদ্রে সরু একটি পাইপ ঢুকিয়ে দিচ্ছে। দুজনকে দেখা যাচ্ছে ব্যাপারটা নিশ্চিত করতে ঘোড়ার মুখ চেপে ধরে আছে। ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে ঘোড়াটি জোর করে গাঁজার ধোয়া নিতে বাধ্য হচ্ছে। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পরই উত্তরাখণ্ড পুলিশকে সক্রিয় হতে দেখা যায়। তারা টুইট করে জানিয়েছে ঘোড়াকে জোর করে গাঁজার ধোয়া নিতে বাধ্য করার ভাইরাল ভিডিওটিকে তারা বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। ভিডিওয় দেখা মানুষদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। পাশাপাশি এ ধরণের অমানবিক ঘটনা ঘটলে সঙ্গেসঙ্গে তা পুলিশকে জানানোর অনুরোধও করা হয়েছে।
সম্প্রতি উত্তরাখণ্ডে গৃহপালিত পশুদের নিয়ে ভারবহন বা যাতায়াতের জন্য তাদের ব্যবহার করা নিয়ে অমানবিক ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। চারধাম যাত্রায় তীর্থযাত্রীদের নিয়ে যাওয়া গাধা ও ঘোড়াদের অবহেলা ও হেনস্থার ঘটনা সংবেদনশীল মানুষের মনকে নাড়া দিয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, কেদারনাথ যাত্রায় ঘোড়া, গাধাদের অতিরিক্ত পরিশ্রম, মারধর ও মাদক খাওয়া হয়ে থাকে। এর আগে ২০১৩ সালে এ অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যার কারণে হওয়া বিপুল ক্ষতি সামাল দিতে এমন অমানবিকভাবে খাটানো হচ্ছে ঘোড়া, গাধাদের বলে মনে করা হচ্ছে। এরপর গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো কোভিডে এখানকার ঘোড়া ও গাধাদের মালিকদের পকেট শূন্য হয়ে যায়।
এর পাশাপাশি পশুপ্রেমী ও পশু কল্যাণ বিশেষজ্ঞ গৌরী মৌলেখি বেশ কিছু ভিডিও শেয়ার করেছিলেন, তাতে দেখা গিয়েছে পরিবহণের কাজে ব্যবহার হওয়া পশুদের কীরকম মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপও দাবি করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেছেন মৌলেখি।