মহানগর ডেস্ক: সারাক্ষণ সোশ্যাল মিডিয়ায় বুঁদ হয়ে থাকা ছোট্ট মেয়েটিকে পাড়ার লোকেরা তাকে ইনস্টা কুইন (Insta-Quin) বলে ডাকতো। বয়েস মাত্র ন বছর। কিন্তু সারাক্ষণ ইনস্টাগ্রাম নিয়ে মেতে থাকা বালিকাকে পড়াশোনা করতে বলেছিলেন বাবা (Father Scrolled The Girl Child)। আর তাতে অভিমানে গলার দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয় মেয়ে। দুঃখজনক ঘটনাটি ঘটে তামিলনাডুর থিরুভাল্লারে।
বাড়ির সামনে এক আত্মীয়ের বাড়িতে খেলছিল মেয়েটি। মেয়েটির বাবা কৃষ্ণমূর্তি মেয়ে সারাক্ষণ ইনস্টাগ্রাম নিয়ে বুঁদ থাকায় তাকে পড়তে বলেন। তারপর বাইক নিয়ে তেল ভরতে বেরিয়ে যান। ঘরের চাবি দিয়ে যান মেয়েকে। তেল ভরে ফিরে আসার পর দেখতে পান ঘরের দরজা বন্ধ করা। মেয়েকে দরজা খোলার জন্য ডাকাডাকি করে কোনও সাড়া না পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন কৃষ্ণমূর্তি। তারপর জানালা ভেঙে ফেলে দেখেন মেয়ে তোয়ালে গলায় জড়িয়ে ঝুলছে। কোনও রকমে শ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করছে সে।
অচেতন অবস্থায় মেয়েকে তৎক্ষণাৎ নিয়ে যান হাসপাতালে। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। কীকারণে বালিকা আত্মহত্যা করেছে,তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এলাকার মানুষেরা জানিয়েছে মৃত বালিকা প্রায়ই ইনস্টাগ্রামে নানা ভিডিও আপলোড করতো। এ কারণে তাকে সবাই ইনস্টা কুইন বলে ডাকতো। বালিকার অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এর আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় অল্পবয়েসি ছেলেমেয়েরা বুঁদ হয়ে থাকা নিয়ে নানা ঘটনা ঘটেছে। অভিভাবকদের বকুনিতে কেউ কেউ চরমপথও বেছে নিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার ভালো প্রভাবের পাশাপাশি কুফলের শিকার হচ্ছে তরুণ প্রজন্ম। শুধু ছোটরাই নয়, বড়রাও এর শিকার হয়ে চলেছে।