Home Offbeat নাড়ু-মোয়া তো থাকছেই! লক্ষ্মীপুজোর ভোগে পাশে থাকুক ব্যতিক্রমী মিষ্টি, জেনে নিন চটজলদি রেসিপি

নাড়ু-মোয়া তো থাকছেই! লক্ষ্মীপুজোর ভোগে পাশে থাকুক ব্যতিক্রমী মিষ্টি, জেনে নিন চটজলদি রেসিপি

by Mahanagar Desk
3 views

মহানগর ডেস্ক: কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো মানেই রকমারি ভোগের মেলা। খিচুড়ি পাঁচমিশালি সবজির সঙ্গে রকমারি মিষ্টি মাস্ট সেই তালিকায়! নাড়ু, মোয়া, কদমা এই মিষ্টির চল রয়েছে বটে, তবে এবার যদি চিরাচরিত পথে না হেঁটে একটু অন্যরকমের মিষ্টি বানান, তাহলে ব্যাপারটা জমে যাবে বৈকী!তবে অনেকেই সেই ঝামেলা থেকে বিরত থাকেন সময়ের অভাবে।চটজলদি রকমারি মিষ্টির রেসিপি জেনে নিন আমাদের কাছে।

১)গাজরের বরফি

উপকরণ

গাজর ১ কেজি, দুধ ১ কাপ, চিনি স্বাদমতো, কনডেন্সড মিল্ক ১/২ কাপ, কাজুবাদাম কুচি ১ কাপ, কিশমিশ ১/২ কাপ, আমন্ড কুচি ৪ চামচ, এলাচ গুঁড়ো ১/২ চামচ, ক্ষীর ১০০ গ্রাম, ঘি ১/২ কাপ।

পদ্ধতি
প্রথমে নন-স্টিক কড়াইতে ঘি গরম করে গ্রেট করা গাজর ভেজে নিন। এবার চিনি, এলাচগুঁড়ো দিন ও ক্ষীর দুধে গুলে দিয়ে অল্প আঁচে সেদ্ধ হতে দিন। গাজরের জল শুকিয়ে এলে কনডেন্সড মিল্ক দিন। কাজুবাদাম কুচি, আমন্ড, কিশমিশ দিয়ে, শুকনো হলে নামিয়ে নিন। এবার প্লেটে ঘি মাখিয়ে গাজরের পুরটা সমান করে দিন। ওপরে কাজু, আমন্ড ও কিশমিশ কুচি ছড়ান, ঠান্ডা হলে বরফি আকারে কেটে নিন।

২)পান নারকেল লাড্ডু

উপকরণ
৩ টি মিঠা পাতা পান, ৩ টেবল চামচ গুলকন্দ, ২ টেবল চামচ ড্রাই ফ্রুটস, ১ কাপ কনডেন্সড মিল্ক, ২ কাপ নারকেল কোরা
প্রয়োজন মত ঘি।

পদ্ধতি
প্রথমে পান পাতাগুলি কেটে ১ টি বাটিতে রাখুন। অন্য একটি পাত্রে গুলকন্দ আর মিক্সড ফ্রুট মিশিয়ে রাখুন। গরম প্যানে কনডেন্সড মিল্ক, পান পাতা, নারকেল কোরা দিয়ে কম আঁচে রান্না করুন । ভাল করে ৩ মিনিট রান্না করে মন্ড তৈরি করুন । হাতে ভালো করে ঘি মাখিয়ে নিন। হাতে একটু করে পান মিক্সচার নিয়ে চ্যাপ্টা বা সমতল করে নিন। গুলকন্দ আর মিক্সড ফ্রুট একটু করে পুরে গোল লাড্ডুর মতো বানান। লাড্ডু গুলো নারকেল কোরাতে ভাল করে রোল করে নিন। যাতে লাড্ডুর গায়ে নারকেল ভাল করে লেগে থাকে। ব্যস তৈরি আপনার পান নারকেল লাড্ডু।

৩)ক্ষীরকদম

উপকরণ
দুধ ১ লিটার, খোয়া ক্ষীর ৫০০ গ্রাম, চিনি ২ কাপ, গুঁড়ো চিনি ৩ টেবিল চামচ, গুঁড়ো দুধ আন্দাজমতো, ভিনিগার ২ টেবিল চামচ, লাল রঙ আন্দাজমতো।

পদ্ধতি
প্রথমে রসগোল্লা বানিয়ে নিতে হবে। তার জন্য বড় একটি পাত্রে দুধ কম আঁচে ঘন করে নিন। ফুটে উঠলে ভিনিগার দিয়ে ছানা তৈরি করে নিন। সেই ছানা একটা পাতলা কাপড়ে ঢেলে জল দিয়ে ভাল করে ধুয়ে ছেঁকে জল ঝরিয়ে নিন যেন ভিনিগারের গন্ধ না থাকে। জল ঝরে গেলে ছানার সঙ্গে অল্প লাল রঙ মিশিয়ে মিহি করে হাত দিয়ে মেখে নিন। মসৃণ হয়ে গেলে ছোট ছোট ছানার বল বানিয়ে নিন। এবার বড় পাত্রে ৩ কাপ জলে ১ কাপ চিনি দিয়ে ফুটিয়ে পাতলা রস তৈরি করুন। ফুটন্ত রসের মধ্যে ছানার বল দিয়ে চাপা দিয়ে মাঝারি আঁচে ২০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে দিন। তৈরি রসগোল্লা।

এবার বানাতে হবে ক্ষীরকদম। তার জন্য রসগোল্লা ২০ মিনিট পর রস থেকে তুলে নিয়ে তার মধ্যে আরও ১ কাপ চিনি দিয়ে রস ঘন করে নিন। ঘন রসে রসগোল্লা দিয়ে ৫ মিনিট ফুটিয়ে, তারপর ঢাকা দিয়ে ঠান্ডা করে নিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে রসগোল্লা রস থেকে তুলে নিন। খোয়া ক্ষীর গ্রেট করে নিন। গ্রেট করা ক্ষীরে গুঁড়ো চিনি মিশিয়ে নিন। খেয়াল রাখুন যাতে ক্ষিরে কোনও দলা না থাকে। তৈরি আপনার ক্ষীর কদম।

You may also like