পোস্ত আমাদের সবার বাড়িতে কমবেশি হয়েই থাকে।আমরা সব খাবারেই পোস্ত খেতে ভালোবাসি।গরমকালে ডালের সাথে আলু পোস্ত আমাদের বাঙ্গালীদের খুব পছন্দের খাবার।শুধু আলু পোস্ত নয় আমরা ঝিঙে পোস্ত,পটল পোস্ত খেয়ে থাকি।বাঙালিদের সব রান্নাতেই পোস্ত ব্যাবহার করার একটি রীতি প্রচলিত আছে।
অনেকে গরম ভাতে কাঁচা পোস্ত বেটে সরষের তেল, কাঁচা লঙ্কা, নুন এবং কাঁচা পেঁয়াজ দিয়ে খেতে ভালোবাসেন। তবে এখন পোস্তর দাম দিন আগুন হয়ে যাওয়ার বাঙালিদের পাতে পোস্তর চল প্রায় নেই বললেই চলে।কিন্তু এই পোস্তর আসল ইতিহাস কি ? আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই পোস্তর আসল ইতিহাস।
বহুকাল আগে সম্রাট আকবরের নির্দেশে বাংলায় পোস্ত চাষের কদর প্রথম শুরু হয়। বাঙ্গালীর রান্নায় আলু – ঝিঙে পোস্তর স্বাদ বাঙালি পেয়েছে প্রায় আড়াইশো বছর আগে। মোঘল যুগে পোস্ত ব্যবহার করা হত মূলত গ্রেভি তৈরীর কাজে।
মোঘল – বাদশাহদের আমলে বিদেশ থেকে পোস্ত আমদানি হত। পরে ধ্বনিদের জন্য এদেশে শুরু হতে থাকে আফিম চাষ।আফিমের বীজকে পোস্ত হিসেবে এবং ফুলকে নেশা করার কাজে ব্যাবহার করা হত। চীনারা নিজেদের বুদ্ধিবলে যে আফিম ফলাত সেই আফিম দিয়ে নেশার বীজ বুনেছিল ইংরেজরা। লক্ষ লক্ষ টাকার আফিম চোরাপথে এদেশে আসত বলে জানা গিয়েছে।
১৯৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধের পরবর্তী সময়ে চীনের আফিম আমদানি ইংরেজদের নজর কাড়ে।নবাব পরাজিত হবার পর পোস্ত নিয়ে গবেষণা শুরু হতে থাকে।এরপর বাংলা – বিহার – উড়িষ্যাতে শুরু হয়ে যায় বিপুল মাত্রায় আফিমের চাষ।কিন্তু এই মহামূল্য পোস্ত আবিষ্কার করেন এক কৃষক গৃহিণী।তিনি আফিমের দানা বেটে সরষের তেল মেখে পান্তাভাত দিয়ে পরিবারের সদস্যদের খাওয়ার সাথে সাথে শুরু হল সব বাড়িতে পোস্ত খাওয়া।