মহানগর ডেস্ক : মিষ্টি,সুস্বাদু আম আমাদের খুবই প্রিয়। গরম এলেই বাজারে আম কিনতে ভিড় জমান সবাই। আমের মিষ্টি টুকরোয় কামড় দিয়ে আমরা যেন ফিদা হয়ে যাই। তা দামটা বেশ বেশি আমের। কিন্তু কত দাম হতে পারে? যদি শোনেন এক কেজি আমের দাম দু লক্ষ টাকা সত্তর হাজার টাকা,তাহলে ভিমরি না খাওয়া ছাড়া উপায় নেই (Miazaki-The Most Expensive Mango) । আজ্ঞে হ্যাঁ, মধ্যপ্রদেশের হিনাউয়া গ্রামে এক আমচাষি সেই মহামূল্যবান জাপানের মিয়াজাকি আমের চাষ করেছেন।
আন্তর্জাতিক বাজারে এই আমের প্রতি কেজি দাম ওই দু লক্ষ সত্তর হাজার টাকা। শুধু মিয়াজাকি আমই নয়, ওই আমচাষি ছাব্বিশ রকমের বিভিন্ন জাতের আমের চাষ করছেন। তার মধ্যে আটটি বিদেশি ব্রিড নিয়ে আসা হয়েছে নেপাল,চিন ও আমেরিকা থেকে। আর এই মহামূল্যবান আম পাহারা দিতে সঙ্কল্প সিং পরিহার নামে ওই আমচাষি বাগানে উচ্চ প্রযুক্তির সিকিউরিটি ক্যামেরা লাগিয়েছেন। রেখেছেন কুকুর এবং বেশ কিছু নিরাপত্তা রক্ষী। তারা সারাক্ষণ বাগান পাহারা দিচ্ছে।
বাগানের মালিক জানিয়েছেন গত বছর তাঁর বাগান থেকে একাধিক চুরির ঘটনা ঘটে। সেজন্যই তিনি এমন ব্যবস্থা নিয়েছেন। মায়াজাকি আম ছাড়াও বাগানে রয়েছে জাম্বো গ্রিন ম্যাঙ্গো, যা তালালা গির কেশর ম্যাঙ্গো বলে পরিচিত। আছে জাপানিজ ব্রিঞ্জল, নেপালের তাইয়ো নো টামাঙ্গো, কেশর আলমন্ড ম্যাঙ্গো, চিনের আইভরি, বালা ম্যাঙ্গিফেরা টোমি আটকিনস, যার আসল উৎপত্তি ফ্লোরিডা।
আটিটি বিভিন্ন দেশের আমের পাশাপাশি বাগানে রয়েছে দু ডজনের ভারতীয় আম গাছ। সঙ্কল্প জানান জাপানের মায়াজাকি আম বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম। এটি একমাত্র সেদেশের মায়াজাকি প্রদেশেই চাষ করা হয়। কারণ এর কিলো লাখ টাকার বেশি বলে সেখানে চাষ করা হয়ে থাকে। ওই আম জাপানে নিলাম হয়। নিলামে দাম ওঠে দু লাখ সত্তর হাজার টাকা। চিনের আইভরি আমের ওজন দু কিলোগ্রাম। এই আমের গড় ওজন দু থেকে তিন কিলোর মধ্যে। এই আম এক ফুট থেকে দেড় ফুট লম্বা। জানুয়ারি মাসে মুকুল দেখা যায় আর জুন মাসের শেষে ওই আম পরিণত অবস্থায় দেখা যায়।