মহানগর ডেস্ক: গোটা গ্রাম জুড়েই নাকি ভূতের উৎপাত (Real Ghost Story)। কয়েক পুরুষ ধরে এই গ্রামে বাস করতেন বহু মানুষ। কিন্তু একদিন হঠাৎই গ্রামের লোকজন রহস্যময় রাতারাতি উধাও হয়ে যান। রাজস্থানের কুলধারা (Rajasthan) গ্রাম নিয়ে এমনই কাহিনি এখনও লোকমুখে ফেরে। রাতারাতি উধাও হয়ে যাওয়া গ্রামের মানুষদের আর সন্ধান মেলেনি।
আঠারো শতকের পর থেকে গোটা গ্রামে জনমনিষ্যির চিহ্ন নেই। জনশ্রুতি, একসময় এখানে ধনী মানুষেরা বাস করতেন। তাঁরা ছিলেন পালিওয়াল ব্রাক্ষ্মণ। এই গ্রামের একটি মেয়ের প্রেমে পড়েন সালিম সিং নামে এক মন্ত্রী। তিনি গ্রামবাসীদের হুমকি দেন, যদি তাঁকে ওই মেয়েটিকে বিয়ে করার অনুমতি না দেওয়া হয়, তাহলে তিনি গ্রামবাসীদের ওপর বিশাল কর চাপাবেন। তখন ওই মেয়েটিকে বাঁচাতে গ্রামের লোকজনেরা সেখান থেকে অন্যত্র চলে যান। যাওয়ার সময় তাঁরা অভিশাপ দেন ওই গ্রামে কেউই আর থাকতে পারবেন না।
তারপর থেকেই গ্রামটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে রয়েছে। গ্রামে রাতে অশরীরীদের কেউ কেউ নাকি দেখেওছেন। চোখধাঁধানো স্থাপত্যে মহারাষ্ট্রের পুণের শনিওয়ারওয়াদা দুর্গ (Castle Of Pune) রীতিমতো চমক জাগানো। এই ঐতিহাসিক দুর্গ ঘিরেও রয়েছে অনেক গা ছমছমে কাহিনি। অদ্ভুত সব ঘটনার সাক্ষী এই দুর্গ। শোনা যায়, পূর্ণিমার সময় এখানে অশরীরী কাউকে দেখা যায়। ভৌতিক কাহিনির কেন্দ্রে রয়েছেন এক অল্পবয়েসি রাজকুমার। এখানে তাঁকে তাঁর ঘনিষ্ঠ এক আত্মীয় নৃশংসভাবে খুন করে। তারপর থেকেই রাত হলে ওই রাজকুমারের আত্মা নাকি দুর্গে ঘুরে বেড়ায়।
দুর্গের মধ্য থেকে এক ভয়াবহ আর্ত চিৎকার শুনতে পেয়েছেন কেউ কেউ। স্থানীয়দের অনেকেই রাতে ওই আকাশ ফাটানো আর্ত চিৎকার শোনার জন্য এখানে আস্তানা গেঁড়ে থাকেন। তবে পর্যটকরা অভিশপ্ত দুর্গে রাতের বেলার পরিবর্তে সকালবেলাতেই আসেন। কারণ, রাত হলে পুরো দুর্গটি সুনসান হয়ে পড়ে। মাঝেমাঝে কেয়ারটেকারকে টহলও দিতে দেখা যায়।
এরকমই অশরীর অস্তিত্বের কথা জানা যায় উত্তরপ্রদেশের মিরাটেও জিপি ব্লক নিয়েও। পরিত্যক্ত বাড়ির ধুলো, মাকড়সার জালে বন্দি সিঁড়িতে টিমটিম করে মোমবাতি জ্বলছে। পো়ড়ো বাড়ির সিঁড়িতে বসে চারজনকে তারিয়ে তারিয়ে পানীয় খেতে দেখেছেন অনেকে। প্রথম দর্শনে ভয়ঙ্কর কিছু মনে হয়নি কারও। পোড়ো বাড়িটির পাশ দিয়ে যেতে যেতে অনেকেই দৃশ্যটা দেখে স্বাভাবিক বলে ভেবেছেন। আশপাশের লোকজনদের মনে হয়েছে, চার জন বন্ধু জমিয়ে আড্ডা মারছে। এতে আর নতুন কি আছে! কিন্তু যখন জানা গেল ওই চার জন আসলে বিদেহী আত্মা, তখন আশপাশের মানুষরা রীতিমতো থরহরিকম্প। রাত হলেই সবাই ওই জায়গা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
উত্তরপ্রদেশের মিরাটের জিপি ব্লকে এখনও বিদেহী আত্মাদের দেখতে পাওয়া যায় বলে স্থানীয়দের দাবি। তবে ওই জায়গায় অশরীরী আত্মা দেখার বিষয়টি জানাজানির পরেও অবশ্য ভূত দেখতে এখনও অন্য জায়গাগুলোর মতো লোকজনের তেমন ভিড় নেই। কেউ কেউ একটি ছোট মেয়েকেও নাকি ওই পোড়ো বাড়ি থেকে বেরোতে দেখেছেন। মেয়েটি লাল জামা পরেছিল বলে অনেকের দাবি। গোটা জায়গাটা এখন পরিত্যক্ত। কেউ ওই বাড়ির পাশ দিয়ে যাতায়াত করেন না।