মহানগর ডেস্ক: বিশ্বাসে মিলায়ে বস্তু, তর্কে বহু দূর। যুক্তি তর্কের বিজ্ঞানকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে যুগ যুগ ধরে গো-মূত্রকে (Cow Urine And Bacteria) অলৌকিক ওষুধ বলে মনে করে আসছেন বহু মানুষ। হিন্দু সম্প্রদায়ের পুজো থেকে পবিত্র কাজকর্মে গো-মূত্রের ব্যবহার করে থাকেন অনেকেই। আর সেটা চলে আসছে ধারাবাহিকভাবে। লক্ষ লক্ষ মানুষ পানও করে আসছেন গোমূত্র। তাঁদের বিশ্বাস, এতে নাকি কঠিন ব্যাধি সেরে যায়। কিন্তু সেই গো-মূত্র নিয়েই সম্প্রতি সতর্কবাণী শুনিয়েছে এক সমীক্ষা (Study Revealed) । বরেলির আইসিএআর-ইন্ডিয়ান ভেটেরিনারি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের এক সমীক্ষায় জানানো হয়েছে গো-মূত্র সরাসরি পান করা মানুষের পক্ষে ক্ষতিকর। কারণ গো-মূত্রে রয়েছে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া। গবেষণায় দেখা গিয়েছে স্বাস্থ্যবতী গোরু ও ষাঁড়ের মূত্রের নমুনায় কমপক্ষে ১৪ রকমের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে এসচেরিচিয়া কোলি, যা পাকস্থলিতে সংক্রমণ ঘটাতে পারে।
আইসিএআর-ইন্ডিয়ান ভেটেরিনারি রিসার্চ ইনস্টিটিউট জানিয়েছে কোনও অবস্থাতেই মানুষের পানের জন্য গোমূত্রের সুপারিশ করা যায় না। কেউ কেউ গো-মূত্রের কুফলের ব্যাপারে বিরোধিতা করে দাবি করছেন শুদ্ধ গোমূত্রে কোনও সংক্রামক ব্যাকটেরিয়া নেই। তারা বিষয়টি আরও ভালোভাবে জানার জন্য গোমূত্র নিয়ে গবেষণা করছে। ভারতে খাদ্য নিরাপত্তা ও মান নির্ণায়ক কর্তৃপক্ষের ট্রেডমার্ক ছাড়াই গোমূত্র বিক্রি হচ্ছে। এদেশের মানুষও অন্ধবিশ্বাসে তা পান বা পুজোপার্বণে ব্যবহার করে চলেছেন।
গোবরজল ছড়ানো, গোমূত্র দিয়ে শুদ্ধ করার রেওয়াজও বহু জায়গায় দেখা যায়। এমনকী কিছুদিন আগে একটি স্থানে মুসলিমরা আজান পড়ার পর শুদ্ধ করতে গোবরজল, গোমূত্র ছড়ানো হয়। এই সংস্কারের পাশাপাশি কুসংস্কার যেমন রয়েছে,তেমনই অবিজ্ঞানপ্রসূত মনোভাবও চোখে পড়ে।