মহানগর ডেস্ক: চোখে দেখলেও বিশ্বাস করতে মন চায় না। আমগাছ, তা নাকি হাঁটতে পারে (Walking Mango Tree)! হ্যাঁ, এমনই এক প্রাচীন আমগাছ রয়েছে গুজরাতের (Valsad District Of Gujarat) ভালসাদ জেলার উমারগ্রাম তালুকার সানজন গ্রামে। জনশ্রুতি, এই প্রাচীন গাছের বয়েস হাজার বছরেরও বেশি। এবং প্রতি বছরই সে হাঁটি হাঁটি পা করে হেঁটে এগিয়ে চলেছে।
গুজরাতের পঞ্চাশটি হেরিটেজ গাছের তালিকায় থাকা এই প্রাচীনতম গাছটি দেখতে সারা দেশ থেকে হাজার হাজার পর্যটক এই গ্রামে আসেন। লোকের মুখে মুখে জীবন্ত কিংবদন্তির মতো এর আশ্চর্য গল্প ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে। এই বিখ্যাত আমগাছটি গত দু দশকে তার জায়গা থেকে দুশো মিটার এগিয়ে গিয়েছে। এখনও আমগাছটি মন্থর গতিতে এগিয়ে চলেছে। সেখানকার এলাকার মানুষের দাবি গাছটি তাদের মনে বিশেষ একটা জায়গা আদায় করে নিয়েছে তার এই আশ্চর্য ক্ষমতার জন্য।
গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন গাছটির ডালপালা মূল কাণ্ড থেকে সমান্তরালভাবে এগিয়ে চলেছে। নতুন শিকড়ও একইভাবে গজাচ্ছে। স্থানীয়দের দাবি গাছটি এখানে তেরোশো বছর আগে পার্শিরা পুঁতেছিল। সূত্রের খবর, সমুদ্র তীরবর্তী বসতি জরুথ্রুস্ট শরণার্থীরা তৈরি করেছিল। ৯৩৬ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে গুজরাতে বসতি স্থাপন করে।
পার্শিরা গ্রেটার খোরাসান বলেই জানতো। সানজান গ্রামটি পর্তুগিজদের কলোনি ও কেন্দ্রশাসিত দামানের কাছে গড়ে উঠেছিল। স্থানীয় মানুষদের মতে এই প্রাচীনতম আমগাছটি অত্যন্ত পবিত্র। এটি পূব দিকে এগিয়ে চলেছে। তাঁরা এটিকে মায়ামমতা দিয়ে রক্ষা করে চলেছেন। বিশেষ করে আদিবাসীরা এই গাছকে ঘিরে ধর্মীয় আচার পালন করে থাকে। পুজোও দেয় তারা।